প্রাণের চিপসের প্যাকেটে ইদুরের লেজ!

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: আমার মেয়ে প্রতিদিনের মত জেদ ধরেছে প্রাণ জিরোস খাবে, এটি খেতে সে খুব পছন্দ করে তাই প্রতিদিনের মত আজকে (মঙ্গলবার) রাত আটটার দিকে বাচ্চাকে বাড়ির সামনে দোকানে নিয়ে গিয়ে এক প্যাকেট প্রাণ জিরোস চিপস্ কিনে দিই। সে বাড়িতে এসে প্যাকেটটি খুলে কয়েকটি জিরোস খাওয়ার পর আমাকে বলে বাবা দেখতো প্যাকেটের মধ্যে কালো মত এটি কি? আমি দেখে তো হতবাক, শুকনা ইদুরের লেজ! সাথে সাথে দোকানদারের কাছে যাই দোকানদার দেখেও হতবাক। এভাবেই কথা গুলো বলছিলেন পটেটো ক্রেতা রাজশাহী মহানগরীর তেরখাদিয়ার বাসিন্দা মনজুর এলাহী।

ঘটনা ঘটার পর এককান দু-কান করে এলাকায় ঘটনাটা রটে যাই,অনেকেই দোকানদারের নিকট এসে স্বচক্ষে দেখে যান। চলতে থাকে লোকমুখে নানান কথা সেই সাথে উৎসুক জনতার মধ্যে থেকে ফোন দেওয়া হয় স্থানীয় অনলাইন পত্রিকা স্বদেশ বাণী.কম অফিসে।

ফটোগ্রাফার ছুটে যাই ঘটনা স্থলে খবরের সত্যতা পাওয়ায় বিভিন্ন এ্যাংগেলে ছবি তুলে পাঠিয়ে দেন পত্রিকা অফিসে। ঘটনাটা গুরুতর হওয়ায় সম্পাদক এই প্রতিবেদককে ঘটনাস্থলে পাঠান, সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা পাওয়ায় ক্রেতা ও দোকানদারের নিকট থেকে তথ্য নেওয়া শুরু করা হয়। এমন সময় উৎসুক এক ব্যক্তি জিরোস প্যাকেটটি নিয়ে ইদুরের লেজটি হাতে নিয়ে ভাল করে নাড়া-চাড়া করতে করতে বলে উঠেন, এইটা ইদুরের লেজ নাগো এটা একটা ময়লা জুট কাপড়ের টুকরা।

উৎসুক জনতা হুমড়ি খেয়ে সেই ময়লা যুক্ত জুট কাপড়ের টুকরাটি দেখে হাসা-হাসি শুরু করেন। এমন সময় কয়েকজন বলে উঠলেন, ইদুরের লেজ হয়নি তো কি হয়েছে শিশুদের খাবারের মধ্যে এমন ময়লা যুক্ত কাপড়ের টুকরা এতবড় নামকরা কোম্পানির নিকট থেকে আশা করা যায়না। বাংলাদেশের প্রথম সারির এমন কোম্পানির পন্য যেখানে হাতের ছোঁয়া ছাড়া অটোমেটিক মেশিনে তৈরি হওয়ার কথা বলা হয় তাদের খাদ্য পন্যের অবস্থা কিভাবে এমনটি হওয়া সম্ভব। চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে শিশুদের আকৃষ্ট করে এমন অ-সচেতনতা মুলক কাজ কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যাইনা।

এব্যাপারে জানতে রাজশাহী প্রাণের অফিসে সরেজমিনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নিরাপত্তা প্রহরী জানান, ম্যানেজার স্যার ছুটিতে আছেন, আপনাদের সাথে কথা বলার মত দায়িত্বশীল কেউ এখন অফিসে নাই।

শাখা ম্যানেজারের নাম ও মোবাইল নম্বর দিতেও তিনি অপারগতা প্রকাশ করে জানান, আপনাদের ভিজিটিং কার্ড গুলো দিয়ে যান স্যার আপনাদের সাথে কথা বলবে। পরে প্রাণ কোম্পানীর পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এব্যাপারে রাজশাহী বিএসটিআই এর সহকারী পরিচালক (সিএম) জহুরুল হক স্বদেশ বাণী.কম’কে বলেন, প্রানের যেসব পন্য রাজশাহীতে উৎপাদিত হয় সেগুলো আমরা মনিটরিং করি। জিরোস চিপস্ রাজশাহীর অনুমোদীত নয় এর পরেও অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *