নতুন ঠিকানা পেলো এফ-৬ যুদ্ধবিমান

রাজশাহী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: মহানগরীর সিন্ডবি মোড়ের এফ-৬ যুদ্ধবিমান টি আজ রাতে মহানগরীর আলিফ লাম মিম ভাটার মোড়ে নতুন ফোরলেন রাস্তার সম্মুখে স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘বাবুই’ আর্কিটেকচারের ২১ সদস্যের দল যুদ্ধবিমানটি বসানোর কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে যশোর থেকে আসা বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে।

জানা গেছে, মহানগরীর ‘রাজশাহী-নওগাঁ থেকে মোহনপুর, রাজশাহী-নাটোর সড়ক, পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ে ক্রসিংয়ের ওপর র‍্যামসহ ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।

২০২.৫০ মিটারের ফ্লাইওভার এবং ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের র‍্যাম নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ কোটি ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩২ টাকা। এর সঙ্গে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আলিফ-লাম-মীম ভাটা থেকে বিহাস পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার ফোর লেন সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। এর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।

এ সড়কের প্রবেশ মুখেই বসানো হচ্ছে যুদ্ধবিমানটি। আর এর মধ্যে দিয়েই দীর্ঘ দুই যুগ পর জায়গা বদল করে নতুন ঠিকানা পাচ্ছে এফ-৬ মডেলের যুদ্ধবিমানটি। বিমানবাহিনীর দেওয়া এ যুদ্ধবিমানটি গত টানা ২৫ বছর মহানগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ের ঐতিহ্য হয়ে ছিল।

নতুন সড়কটি রাজশাহীর শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দর সড়কে গিয়ে মিলিত হয়েছে। দুই সড়কের সংযোগস্থলে থেকে এফ-৬ মডেলের ‘যুদ্ধবিমান’ নির্দেশনা দেবে ‘বিমানবন্দরের’ দিকে। এটি হবে নতুন সড়কের মূল আকর্ষণ।

এর আগে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সকালে যুদ্ধবিমানটি সিঅ্যান্ডবি মোড়ের নির্ধারিত স্ট্যান্ড থেকে নামানোর কাজ শুরু হয়।

স্থানান্তর কার্যক্রম পরিচালনার সময় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার কাজী শাহজাহান জানান, স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের আকাশসীমার সুরক্ষায় এফ-৬ মডেলের যুদ্ধবিমানটি কেনা হয়েছিল। বিমানটি ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সার্ভিস দিয়েছে। পরে শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশন একটি অব্যবহৃত বিমান সিঅ্যান্ডবি মোড়ে স্থাপনের আবেদন জানায়।

অনুমোদনে পর ১৯৯৪ সালে রাজশাহী সিঅ্যান্ডবি মোড়ে কংক্রিটের তৈরি স্ট্যান্ডের ওপর এ বিমানটি স্থাপন করে সিটি করপোরেশন।

যুদ্ধবিমানটি অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। এ মডেলের বিমানের ইঞ্জিন সাধারণত ভেতরেই থাকে। তবে এটিতে ইঞ্জিন নেই। কিন্তু এখনও দুই পাখার সঙ্গে ড্রপ ট্যাংক আছে। এছাড়া পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিমানটি মডেল হিসেবে রূপ দেওয়া হলেও এর পাইলটের বসার স্থানটি ঠিক রাখা হয়। যদিও স্থানান্তরের কারণে বিমানটির পাখা এবং ড্রপ ট্যাংকগুলো খুলে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বর্তমানে রং করে আবারও তা যথাস্থানে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

স্ব:বা/না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *