জোবার হোসেন রুবন এর আদর্শ ও মূল্যবোধ নতুন প্রজন্মকে আজো জাগ্রত করে

রাজশাহী
মহানগর প্রতিনিধি: ৯০-এর দশকে রাজশাহী মহানগরে ছাত্রলীগ যারা করেছেন তারা অনেক বিপদ, কষ্ট, জেল, জুলুম, নির্যাতন বুকে নিয়ে রাজনীতি করেছেন।তখন জয় বাংলা বলার মতো সাহস খুবই অল্প মানুষের ছিল।”জয় বাংলা” বলতে ভয় পেতো কারণ সামরিক শাষক এরশাদ পরবর্তীতে আবার বি.এন.পি শাষন।সেই সময় যারা ছাএলীগ করেছেন নিঃসন্দেহে আদর্শিক সাহসী মুবিব সৈনিক তারা।তাদের মধ্যেই একজন জোবায়ের হোসেন(রুবন)।
তিনি ছিলেন সব চেয়ে দুঃসময়ের রাজশাহী মহানগরের সফল সাধারণ সম্পাদক। তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বও অত্যান্ত দক্ষতার সাথে পালন করেছেন।সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রেখেছিলেন ব্যাপক ভূমিকা। সেজন্য নির্যতিত হতে হয়েছে বারংবার। পরবর্তীতে সৈরাচার পতনের পরে এলো খালেদা শাষন আমল তখনও তিনি রাজপথ থেকে সরে যাননি।কারণ তার উদ্দ্যোশ্যই ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেএী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখেতে। নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে, মানতে হবে, সম্মান করতে হবে। কারণ তারা যে ত্যাগ দিয়ে গেছে,সেই ত্যাগের উপর দাড়িয়েই ছাএলীগ করেছে আজকের সু-সময়ে ছাএ নেতারা। আজকে যারা ছাএলীগ করছেন অবশ্যই তাদেরকে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।
এটা আদর্শেরই একটা অংশ।মুজিব আদর্শকে টিকিয়ে রাখতে ৯০-এর দশকে অনেক ছাত্রলীগ নেতা জেল-জুলুম আর অত্যাচারের শিকার হয়েছেন, জোবায়ের হোসেন(রুবন)ও বাদ পরেননি। পরবর্তীতে খালেদা পতন আন্দোলন।সেই সময়েও রুবনের ভূমিকা ছিল প্রসংশনীয়।রাজশাহী মহানগরের পদকে তিনি তুচ্ছ মণে করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ে চলে গেলেন ছাএ সংগঠন গোছাতে।সেখানেও তিনি সফল হয়েছেন।খালেদা পতন আন্দোলনে এই রুবন প্রতিটি ওয়ার্ড,,থানাকে দাড় করিয়ে রাজপথ প্রকম্পিত করেন।অবেষে তার স্বপ্ন পূরণ হয় ১৯৯৬ইং প্রথমবারের মতো আওয়ামীগীগ ক্ষমতা আসে,  আর রুবনের সেই চাওয়া শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন।
এই জোবায়ের জীবনের যৌবন পার করেছেন ছাএ রাজনীতির মধ্য দিয়ে।বর্তমান তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটির সদস্য।তিনি ছাএলীগ ও আওয়ামীলীগকে শুধু দিয়েই গেছেন।এখনো দিচ্ছেন, তিনি কোন পদ-পদবীর পরোয়া করেন না। তিনি মুজিব আদর্শকেই বড় করে দেখেন। ৯০-এর দশকের কিছু নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে তিনি অত্যান্ত ত্যাগী ও পরিছন্ন এবং পরিশ্রমি একজন নেতা।জোবায়ে হোসেন(রুবন)-কে রাজশাহী মহানগরে  দলীয় পদ দিলে তিনি তা অত্যান্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করবেন।অতীতেও তিনি তাই করেছেন। ৯০-এর দশকের ছাএনেতাদের সাথে কথা বলে জানা আরো জানা যায়,রাজশাহীর নগর পিতা, উন্নয়নের রুপকার ও মাননীয় মেয়র এবং রাজশাহী আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান(লিটন) ও তৃনমূলের প্রাণ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার রাজশাহী আওয়ামীলীগকে আরো শক্তিশালী করতে সাবেক ত্যাগী ছাত্রদের গুরুত্বপূর্ন পদ দিয়ে সঠিক মুল্যায়ন করবেন।
ছাএ আন্দোলনে যারা দুঃসময়ে আওয়ামীলীগে  বিশেষ অবদান রেখেছেন তাদেরকে এবার গুরুত্বসহকারে স্থান করে দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। নতুন প্রজন্মকে মুজিব আদর্শে গড়ে তুলতে তাদের কোন বিকল্প নেই।ইতিহাস সৃষ্টি করে এবার আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হবে।জোবায়ের হোসেন(রুবন)-কে শুধু আওয়ামীলীগ নয় তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মী এবার আওয়ামীলীগ রাজশাহী মহানগর কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায়।জোবায়ের হোসেন (রুবন)এর মতো বিপদ কালীন সময়ের প্রতিটি ত্যাগী নেতার সঠিক মুল্যায়ন হবে বলে আশা করেন রাজশাহীর অনেক আওয়ামী লীগসহ তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী বৃন্দ।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *