জয় ছাড়া আর্মেনিয়ায় আক্রমণ বন্ধ করবে না তুরস্ক

আন্তর্জাতিক লীড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের চলমান সংঘাত অবসানে রাশিয়াসহ পশ্চিমাদের যুদ্ধবিরতির আহŸান প্রত্যাখ্যান করেছে তুরস্ক। যুদ্ধবিরতির এই আহŸানকে ভাসা ভাসা আখ্যায়িত করে আঙ্কারা আবারও জানিয়েছে, মধ্যস্থতা করতে হলে রাশিয়াকে অবশ্যই নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে।

১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এই সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। পরে ২০১৬ সালের শুরুতেও সংঘাতে জড়ায় দুই পক্ষ। সর্বশেষ পুরনো সংঘাত ২৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) থেকে নতুন করে আবার শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনের সংঘাতে প্রায় দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

সংঘাতের শুরু থেকেই রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতির আহŸান জানিয়ে আসছে। এমন অবস্থায় শুক্রবার (২ অক্টোবর) আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি পুনঃ প্রতিষ্ঠায় ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।

তবে সংঘাতে আজারবাইজানকে সমর্থন জানানো তুরস্ক যুদ্ধবিরতির আহŸান প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আবারও দাবি করেছে, বিরোধপূর্ণ অঞ্চল থেকে আর্মেনিয়ার দখল ছেড়ে দিতে হবে।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু বলেন, রাশিয়া যদি নিরপেক্ষ থাকতে পারে কেবল তখনই মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করা সম্ভব। তিনি বলেন, অবিলম্বে সংঘাত অবসানের জন্য ভাসা ভাসা দাবি ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এখন কোনো কাজে আসবে না।

উল্লেখ্য, আর্মেনিয়া সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর সামরিক জোটের সদস্য। এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছে রাশিয়া। আর্মেনিয়ার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক থাকা তুরস্ক আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র।

ইয়েরেভানের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, কারাবাখে সংঘাতে আজারবাইজানকে শক্তিশালী করতে উত্তর সিরিয়া থেকে ভাড়াটে সেনা পাঠিয়েছে তুরস্ক। তবে আঙ্কারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *