স্বদেশ বাণী ডেস্ক: পাবনার চাটমোহর উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গোলজার হোসেন (৩৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই নারীর দায়ের করা মামলায় বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গোলজার নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে এবং জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার শীল যুগান্তরকে জানান, চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের এক ব্যক্তি দুই বছর আগে ইরাকে পাড়ি জমান।
প্রবাস থেকে তিনি স্ত্রীর কাছে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর গ্রামের গোলজার হোসেন ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর পর গোলজার হোসেন ভয়ভীতি ও নানা আশ্বাস দেখিয়ে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে করেন।
এ ছাড়া ওই প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার। সম্প্রতি ইরাক থেকে ওই প্রবাসী বাড়ি ফিরে আসার পর স্ত্রীর কাছে টাকার হিসাব চাইলে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা গোলজার নিয়েছে বলে জানায়।
এর পর ওই প্রবাসী গোলজারের কাছে টাকা চাইলে নানা টালবাহানা শুরু করে। এর পর পুনরায় টাকা চাইলে ওই প্রবাসীকে গত ২ অক্টোবর গোলজারগং বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। এ নিয়ে থানায় ওই প্রবাসী একটি অভিযোগও দেন।
এদিকে বুধবার বিকালে বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে সালিশবৈঠক বসলে সালিশে ওই গৃহবধূ ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করেন। পরে সালিশ ভণ্ডুল হয়ে গেলে ওই গৃহবধূ থানায় আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ আসামি গোলজার হোসেনকে গ্রেফতার করে চাটমোহর থানা পুলিশ।
জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গ্রেফতারকৃত গোলজার হোসেনের পদবি নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, সরকার ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ব্যক্তির আওয়ামী লীগে স্থান নেই। তাকে বহিষ্কারের জন্য ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
চাটমোহর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, অভিযুক্ত আসামিকে বৃহস্পতিবার সকালে পাবনা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর।
স্ব.বা/শা