স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিভাগের মোহনপুর উপজেলার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্তের নাম, সাজেদুল কবির সোহেল(৪৭)। তিনি মহিষকুন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ম্যনেজিং কমিটি সভাপতি, ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর অভিভাবক ও বিক্ষুব্দ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এর আগে ও ঐ শিক্ষক মহিষকুন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ে একাধিক ছাত্রীকে ধর্ষনের চেস্টা করেন।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, মোহনপুর মহিষকুন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সাজেদুল কবির সোহেল বাসায় স্ত্রীসহ পরিবারের কেউ না থাকায় সুযোগে ১৬ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রকে কৌশলে ডেকে মুখে গামছা দিয়ে ২৫ মার্চ রাত্রী সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটের দিকে কক্ষে ডেকে নিয়ে জোর পুর্বক বলৎকার করে। বলৎকারের শিকার ছাত্রকে এ ঘটনা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন ওই শিক্ষক। গত ২৮ মার্চ শিক্ষক রাইস মিলে ওই ছাত্র খাতার কাজ করতে হবে আবারো ডেকে নেয় জোর পুর্বক বলৎকার করেন । গত ১লা এপ্রিল মোবাইল ফোনে ওই শিক্ষক ছাত্রকে তার বাড়ীতে যেতে বলে ছাত্র যেতে না চাইলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর লোক লজ্জার ভয়ে বার বার ওই ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
ঐ ছাত্র তার পরিবারের অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি অবহিত করে প্রতিকার চাওয়া হয়। শনিবার বেলা ১০ টায় বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষক সাজেদুল কবির সোহেল শাস্তির দাবীতে সইপাড়া তুলসীক্ষেত্র বাঁধ পাকা রাস্তা প্রায় ২ ঘন্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা ছাত্রের অসহায় পিতা শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ তার দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান। এতে রাস্তার দুপার্শ্বে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুল হাসান মুস্তান ও প্রধান শিক্ষক মুজিবুবর রহমান আগামী সোমবার ৮ এপ্রিল ম্যানেজিং কমিটির সভায় তার যথাযথ বিচার ব্যবস্থা করা হবে আশস্ত করলে শিক্ষার্থী অবরোধ তুলে নেয়।
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক সাজেদুল কবির সোহেল শনিবার বিক্ষোভে আসার পথে বলৎকারের শিকার ছাত্রকে মারপিট করে, মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়।
প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, সহকারি শিক্ষক সাজেদুল কবির সোহেল কর্তৃক এসএসসি পরীর্ক্ষী ছাত্রকে যৌন হয়রানির ঘটনাটি আমাকে জানানোর পর আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিষয়টি অবহিত করেছি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কামরুল হাসান মুস্তানকে জানায়, নির্যাতিত পরিবারের লোকজন আমাকে বিষয়টি জানানোর পর ঘটনার সত্যতা ও পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য মোহনপুর স্বাস্থ্য কম্লেক্সে ভর্তি করেন।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) আবুল হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছিল অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থ গ্রহন করা হবে। মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানওয়ার হোসেন, জানান তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।