স্বদেশবাণী ডেস্ক: সন্ত্রাসীদের বাধারমুখে যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এমএসআর সামগ্রী সরবরাহের জন্য আহ্বানকৃত টেন্ডারের সিডিউল ক্রয় করতে পারছেন না ঠিকাদাররা। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) যশোর শহরের ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ব্যাংক চালান জমা দিয়েও টেন্ডারের সিডিউল সংগ্রহ করতে পারেননি।
সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করা, সিডিউল ক্রয়, ড্রপিংয়ের স্থান ও সময় বর্ধিতকরণ করার দাবিতে সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। আবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন।
এসএসআর সামগ্রী ক্রয়ের লক্ষে গেল বছরের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আঞ্চলিক এবং জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টেন্ডার আহ্বান করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে আজ বুধবার (৬ জানুয়ারি) অফিস চলাকালীন পর্যন্ত সিডিউল বিক্রির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিডিউল জমা দেওয়া যাবে। সিডিউল বিক্রি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫০ টাকা।
বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী ব্যাংক চালান জমা দিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিউ আহমেদ ফার্মেসি, শান্ত ড্রাগ হাউজ, হাফিজুর রহমান, শফিকুর রহমান, আজিজ মেডিকোর প্রতিনিধিগণ গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিডিউল সংগ্রহ করতে শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীদের বাধার সম্মুখীন হন বলে দাবি করেন। অস্ত্রধারীরা তাদেরকে প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী বলেন, ‘আবেদনপত্র পেয়েছি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং বহিরাগতদের কোন সন্ত্রাসী মহড়াও হচ্ছে না। তারপরও পূর্ব সতর্কতার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক বা তাদের প্রতিনিধিগণ প্রয়োজন মনে করলে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে দরপত্র সংগ্রহ এবং জমা দিতে পারেন।’
সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন জানান,‘ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন পেয়েছি। যদিও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কোন ভূমিকা নেই। তারপরও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া আছে।’