স্বদেশবাণী ডেস্ক: যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাস্তা পেরোলেই মোমিননগর সমবায় মার্কেট। সেখানে সজীব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ফটোকপির দোকানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল জাল কাগজপত্র তৈরির কারবার। জানতে পেরে ওই মার্কেটে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গ্রেফতার করা হয়েছে মালিকসহ দুইজনকে। উদ্ধার করা হয়েছে ভুয়া কাগজপত্র তৈরির সরঞ্জাম, কম্পিউটার।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণ চন্দ্র।
এ সময় ভুয়া কাগজপত্র তৈরির দায়ে আদালত মালিক সাজ্জাদুর রহমান ও কর্মচারী মনিরুল ইসলামকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
দোকানের মালিক সাজ্জাদুর রহমান যশোরের ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত শাহাদৎ হোসেনের ছেলে এবং জেলা বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ রাসেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত মনিরুল ইসলাম একই উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মোবারেক মোল্যার ছেলে।
যশোর বিআরটিএ’র গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, রেকর্ড রুম, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা রাজস্ব, জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাগজপত্র সবই জাল করেছে চক্রটি। নিখুঁত এদের প্রতারণা। দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো নকল। এ জাল কাগজপত্র তৈরির কারবার চলছিল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ঠিক সামনের মার্কেটে।
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণ চন্দ্র জানান, ‘সম্প্রতি কয়েকটি জমির ভুয়া আরএস খতিয়ান ও সিএস খতিয়ান তৈরি করে ভুয়া স্বাক্ষর ও জাল সিলের মাধ্যমে যশোর রেকর্ড রুম থেকে জমির পর্চা নেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।’
তিনি জানান, ‘অভিযানে সজীব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ফটোকপির দোকানে যশোরের বিভিন্ন সরকারি দফতরের ভুয়া সিল পাওয়া যায়। তাছাড়া দোকানের কম্পিউটারে যশোরের বিভিন্ন দফতরের কাগজপত্র তৈরির ডকুমেন্টও রয়েছে।’
চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসকের রেকর্ডরুমসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে জাল স্বাক্ষর বা সিল ব্যবহার করে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে আসছে বলেও জানান এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।