কলাগাছের শহিদ মিনার বেতাগীর ১৪৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

সারাদেশ

স্বদেশবাণী ডেস্ক:  ‘মোদের গরব মোদের আশা আমরি বাংলা ভাষা’- এই বাংলা ভাষার জন্য প্রতি বছর ভাষা দিবস এলেই শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নানা আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে শহিদদের স্মরণে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হয়।

রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ৬৯ বছর পরেও বরগুনার বেতাগী উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহিদদের স্মরণে শহিদ মিনার নেই। ফলে ভাষা দিবসে কোথাও বাঁশ-কাঠ, কোথাও কলাগাছ ও মাটি দিয়ে অস্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণ করে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এবারও একইভাবে শহিদ মিনার নির্মাণ করে সেখানেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে হবে। অথচ এ উপজেলায় ১৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৩৭টিতে শহিদ মিনার রয়েছে। বাকি ১৪৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কলাগাছ দিয়ে শহিদ মিনার সাজিয়ে উদযাপন করা হবে।

জানা গেছে, উপজেলার ১২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বদনীখালী, বাসন্ডা ও পূর্ব কাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৫টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার রয়েছে এবং ১১৪টি বিদ্যালয়ের কোথাও শহিদ মিনার নেই।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পযার্য়ে আসমত আলী, কাউনিয়া, আখতার মোর্শ্বেদ কৃষি কলেজ, বেতাগী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ, কাউনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম করুনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফুলতলা বিকাশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোকামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রানীপুর খোন্তাকাটা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, সবুজ কানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোড়া আর্শ্বেদিয়া জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনেও শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। তবে মাদ্রাসা পর্যায়ে ২৩টি প্রতিষ্ঠানে এখনো কোথাও শহিদ মিনার নেই।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রকৌশলী সৈয়দ নূরে আলম শোভন জানান,শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হলে কোমলমতি শিশু ও ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ভাষা আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে আরও আগ্রহ প্রকাশ করবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকারি বিধিমোতাবেক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের জন্য উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুর রহমান বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করতে সরকারের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসা উচিত। তবে এ বছর সরকারি নিদের্শ মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *