স্বদেশবাণী ডেস্ক: ফেনীতে আনিশা ইসলাম (১১) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের বাড়ির ছাদেই তাকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেনী শহরতলীর কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামে আনোয়ার ড্রাইভার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে হত্যাকাণ্ড’র কারণ প্রাথমিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জেঠাতো ভাই নিশানকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের মা ও পুলিশ জানায়, রাত ৮টার দিকে জেঠাতো ভাই মাদ্রাসা ছাত্র নিশানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা শুনে বাড়ির সকলে খোঁজাখুঁজিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এসময় বাড়িতে একাই ছিলো তানিশা। একপর্যায়ে নিশানকে খুঁজে পাওয়া গেলেও নিখোঁজ হয় তানিশা! তাকে ঘরে না পেয়ে ছাদে খুঁজতে গেলে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পায় পরিবার।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে সেখানে ব্যবহৃত একটি সেন্ডেল দেখতে পায় পুলিশ। এসময় জানতে পারে সেন্ডেলটি নিশানের ছিলো। পরে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে জেঠাতো ভাই নিশানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত তানিশা সৌদি প্রবাসী শহীদুল ইসলামের ছোট মেয়ে। সে ফেনী শহরের একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।
এ ব্যাপারে ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, ঘটনার রহস্য উৎঘাটনে পুলিশ, ডিবি, র্যাব, পিবিআই ও সিআইডিসহ একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।