স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

জাতীয় বিশেষ সংবাদ লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এক গৃহবধূ (২০) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শনিবার রাতে নরসিংদীর ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ গিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় রাজিব হোসেন (২৭) ও রিফাত হোসেন জাফর (২৪) নামের দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রাজিব ঘোড়াশাল পৌর এলাকার টেঙ্গরপাড়া গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে ও রিফাত চামড়াব গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। গ্রেফতারের পর তাদের ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের কাছে রোববার সকালে হস্তান্তর করে ঘোড়াশাল রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ।

ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে ঘোড়াশাল রেলস্টেশন এলাকায় স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে আসেন ওই গৃহবধূ। এ সময় রেলপথ দিয়ে স্বামীকে নিয়ে হাঁটার সময় রাজিব ও রিফাতসহ তিন বখাটে ওই দম্পত্তিকে আটক করে পরিচয় জানতে চায়। একপর্যায়ে রেলস্টেশনের পাশে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে স্বামীকে মারধর করে আটক করে রাখে গ্রেফতারকৃতরা। এরপর তার স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। ঘটনার পর ভিকটিমের স্বামী ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানালে রেলওয়ে পুলিশ অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করে। এ সময় অন্য তিন বখাটে পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূ নরসিংদীর পলাশে একটি কারখানায় চাকরি করেন। তার স্বামী থাকেন চট্টগ্রামে। ঘটনার দিন শনিবার রাতে ঘোড়াশাল রেলস্টেশনে তারা ঘুরতে এসেছিলেন।

গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি চট্টগ্রামে কাজ করেন। শনিবার পলাশ থানা এলাকায় স্ত্রীর বাসায় এসে সন্ধ্যায় ঘোড়াশাল রেলস্টেশনে ঘুরতে বের হন। এ সময় কয়েকজন বখাটে তাদের পরিচয় জানতে চান। পরিচয় বলার পরও তারা তাকে জোর করে আটকে রাখে। পরে তারা তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় তিনি কৌশলে আটকের জায়গা থেকে ছুটে গিয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে এবং দুজনকে গ্রেফতার করে।

ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস জানান, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ মামলা করেছেন। রোববার দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *