স্বদেশবাণী ডেস্ক: নিজের অনুসারীদের অস্ত্রবাজির ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর অবশেষে মুখ খুলেছেন নোয়াখালীর বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে ভিডিওতে অস্ত্র প্রদর্শনকারী কেচ্ছা রাসেল ও পিচ্চি মাসুদকে তার ত্যাগী কর্মী দাবি করে বলেন, শহীদুল্যাহ রাসেল প্রকাশ কেচ্ছা রাসেল তার পৌরসভার নাইটগার্ড এবং আনোয়ার হোসেন মাসুদ প্রকাশ পিচ্চি মাসুদ মুছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ত্যাগী সাংগঠনিক সম্পাদক।
তিনি দাবি করেন, ওই ভিডিওর ব্যক্তিরা রাসেল ও মাসুদ নয়। ওরা হচ্ছে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অহিদ উল্যাহ চৌধুরী দিদার ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের করিম উদ্দিন শাকিল। এরা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থক।
এর আগে কাদের মির্জা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ওই ভিডিও এডিটিং করা। এছাড়া ওই ভিডিও কোন স্থানের তা তিনি নিশ্চিত নয়। একদিন পর তিনি অস্ত্রধারীর পরিচয় অস্বীকার করলেন।
খবর নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বড়ভাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকায় গেছেন কাদের মির্জা। সঙ্গে অভিযুক্তরাসহ অন্তত ২০ জন অনুসারী সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
এদিকে গত ১৩ মে বিকালে বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের করালিয়ায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের কর্মীদের ওপর গুলি ছোড়েন কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী কেচ্ছা রাসেল ও পিচ্চি মাসুদ। পরে ওই ঘটনার সিসিটিভির ভিডিও প্রকাশ হলে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়।