ব্রাজিলে বেড়েছে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ

আন্তর্জাতিক

স্বদেশবাণী ডেস্ক : ব্রাজিলে ২০২০ সালে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৯.৫ শতাংশ বেড়েছে। বন উজাড়ের কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে ব্রাজিলই একমাত্র দেশ যারা দূষণ কমাতে পারেনি।

পরিবেশবাদী গ্রুপগুলোর জোট ক্লাইমেট অবজারভেটরির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালে বিধিনিষেধের কারণে সব কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়ায় ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী নির্গমন ৭ শতাংশ কমেছে। কিন্তু ব্রাজিলে বেড়েছে। ব্রাজিল এ সময়ে ২.১৬ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইডের সমতুল্য গ্যাস নিঃসরণ করেছে। ২০০৬ সালের পরে এই পরিমান সর্বোচ্চ।

এতে বলা হয়, “ব্রাজিলে বিশেষ করে আমাজানে বন উজাড় বৃদ্ধি পেয়েছে।”

২০১৯ সালে ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কৃষি ও খনিজ অনুসন্ধানের জন্য সংরক্ষিত ভূমি উন্মুক্ত করে দেয়ায় বন উজাড় বৃদ্ধি পেয়েছে। মহামারির কারণে শিল্প এবং বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম অর্থনীতি ব্রাজিলের মতো বেশীরভাগ দেশ গত বছর জ্বালানি খাতে দূষণ কমিয়েছে। সেখানে ৪.৬ শতাংশ দূষণ কমেছে যা ২০১১ সালের পর দেখা যায়নি। তবে সেই অর্জন কৃষিখাতের জন্য ২.৫ দূষণ বৃদ্ধি এবং ২৩.৭ শতাংশ “ভূমি ব্যবহার পরিবর্তনের” কারণে ম্লান হয়েছে। এই জমি ব্যবহারের জন্য গাছ কাটা এবং বন পোড়ানো হয়েছে।

কৃষিকাজ এবং গবাদি পশুপালনের মাধ্যমে, জমি পরিস্কার করার মাধ্যমে বায়ুমন্ডলে কার্বন নির্গত হয়। বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদক এবং সয়া ও গরুর মাংশ রফতানিকারক দেশটির জন্য এটি একটি বড় সমস্যা।

বোলসোনারোর ক্ষমতাকালে ব্রাজিলের আমাজানে এক বছরে ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার বনভূমি উজাড় হয়েছে। আয়াতনের হিসাবে এটি লেবাননের সমান এলাকা। এক বছর আগে এই বন উজাড় এলাকা ছিল ৬,৫০০ বর্গকিলোমিটার।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *