একাডেমিক গ্রেডিং পদ্ধতির বিড়ম্বনা এবং অন্যান্য বিষয়

চারণ সংবাদ

অধ্যাপক মো. আবদুল কুদ্দুস: আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারে একটি কথা বেশ প্রচলিত-“উই অ্যাডমিট পিপল, নট নাম্বারস।” অর্থাৎ আমরা মানুষকে ভর্তি করি, নম্বরকে নয়। বিশ্ববিখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয় হতে আমেরিকার দুইজন প্রেসিডেন্ট (উড্রো উইলসন ও জন এফ কেনেডি) সহ বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান তৈরী হয়েছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন প্রতিথযশা গ্র্যাাজুয়েটগণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারন কৃতিত্বের জন্য পেয়েছেন নোবেল পুরস্কার। ১৭ জন বিজ্ঞানী পেয়েছেন ন্যাশনাল মেডেল অব সায়েন্স। আমেরিকার সংবিধান রচনাকারী জেমস ম্যাডিসনও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন মানুষ ভর্তি করায় তেমনি সত্যিকারের সৃজনশীল মানুষও যে তৈরী করেন তা আজ প্রমাণিত।

আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নম্বর অগ্রগন্য। মানুষের মানবিক গুনাবলীর কোন অর্জন এখানে বিবেচ্য বিষয় নয়। এদেশের শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা প্রশাসনের হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য গ্র্যাজুয়েটদের ভোগান্তির শেষে নেই। বাংলাদেশের বয়স পঞ্চাশ বছরেরও কম। অথচ একাডেমিক ফলাফল মূল্যায়নের নীতি পরিবর্তীত হয়েছে অজানা বার। কিছু বিশেষ কারণে আমি এদেশের শিক্ষাস্তর অনুযায়ী শিক্ষাবিদদের শ্রেনীবিন্যাস করতে চায়। যেমন, শিক্ষাবিদ-প্রাথমিক শিক্ষা। যদিও এই স্তরের শিক্ষাবিদদের শিক্ষার্থীগণ তাদের অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে এখন আর কোন উপার্জন করতে পারে না। এরপর শিক্ষাবিদ-মাধ্যমিক। এই স্তরের শিক্ষাবিদদের শিক্ষার্থীগণ শিক্ষা জীবন শেষে কেবল দেশের নি¤œস্তরের কাজে নিয়োজিত হয়ে জাতীয় উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হওয়ার সুযোগ পায় মাত্র। আবার শিক্ষাবিদ-উচ্চ মাধ্যমিক এবং শিক্ষাবিদদের সর্বশেষ স্তর শিক্ষাবিদ-উচ্চ শিক্ষা।

এসব স্তরের শিক্ষাবিদদের শিক্ষার্থীগণের হাহাকার! হতাশা! অনেক বেশী। কারণ ওরা জীবন গড়ার সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে একাডেমিক গ্রেডিং পদ্ধতির গেঁড়াকলে আটকে যায় নানাভাবে। এই যেমন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য তাদের পূর্বের ফলাফলে জন্য একটি নির্ধারিত পরিমান নম্বর পৃথক করে রেখে দেওয়া হয়। আবার একটি নির্দ্দিষ্ট পরিমানে নম্বর না পেলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদনই করতে পারবে না! এসব জাল-জটিলতা মেধা ও দক্ষতার শক্তিতে কেউ যদি সরিয়ে দিয়ে মুক্তি লাভ করতে পারে তবে তাঁরা কর্মজীবনে প্রবেশ করতে গিয়ে আবারো ফলাফল জনিত সমস্যার সম্মুীখীন হয়। অধিকাংশ চাকরীর বিজ্ঞাপনে খামখেয়ালিপনা করে জিপিএ/ সিজিপিএ শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, কেউ যদি তাঁর ক্যারিরসম্যাটিক শক্তি দিয়ে একটি চাকরীতে প্রবেশ করতে পারেন এরপর তাঁর পদোন্নতির পর্বে আবারো ফলাফল জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। সময়ের সাথে এসব পক্রিয়ার যে সমন্বয় প্রয়োজন তা কেউ বিবেচনা করার নেই এই দেশে। রেজাল্টের মাধ্যমে মেধাবী জনবল নিয়োগের জন্য সবাই সজ্জন হয়ে উঠেন। আমি মনে করি যে সকল স্তরের শিক্ষাবিদদের নিয়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমনিন্বত সিদ্ধান্ত গ্রহন করলে জটিলতা কমতে পারে। গ্রেডিং পদ্ধতির একটি তুলনামূলক আলোচনা থেকেই আমরা বুঝতে পারবো এর বিড়ম্বনা কতোটা গভীরে।

সারণি-১ঃ বিভাগ/শ্রেণি পদ্ধতিতে ফলাফল ও নম্বর বিন্যাসঃ (২০০১ সালের পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত মাধ্যমিক-উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত কার্যকরী ছিল)
বিভাগ/শ্রেণি নম্বর ১০০০/১২০০ মন্তব্য
স্টার মার্কস ৭৫% ৭৫০ তুল্য গ্রেড নেই
প্রথম বিভাগ ৬০% ৬০০ বর্তমানে এ+, এ, এ-,বি+, বি গ্রেড অর্ন্তভূক্ত
দ্বিতীয় বিভাগ ৪৫% ৪৫০ বি-, সি+, সি গ্রেড অর্ন্তভূক্ত
তৃতীয় বিভাগ ৩৬% ৩৬০/৩৩০ শুধু ডি গ্রেড অর্ন্তভূক্ত
অকৃতকার্য ৩৩% এর কম ০ —

সারণি-২ঃ গ্রেডিং পদ্ধতিতে মূল্যায়িত ফলাফলঃ (২০০২-২০০৪ পর্যন্ত ঐচ্ছিক বিষয় বাদে এবং বর্তমানে ঐচ্ছিক বিষয়সহ কার্যকরী) লেটার গ্রেড নম্বর রেঞ্জ গ্রেড পয়েন্ট
এ+ ৮০-১০০ ৫.০০
এ ৭০-৭৯ ৪.০০
এ- ৬০-৬৯ ৩.৫০
বি ৫০-৫৯ ৩.০০
সি ৪০-৪৯ ২.০০
ডি ৩৩-৩৯ ১.০০
এফ ০-৩২ ০.০০

সারণি-৩ঃ গ্রেডিং পদ্ধতিতে মূল্যায়িত ফলাফলঃ (প্রস্তাবিত, ২০১৯)
লেটার গ্রেড নম্বর রেঞ্জ গ্রেড পয়েন্ট
এই ৯০-১০০ ৪.০০
এ+ ৮০-৮৯ ৩.৮৫
এ ৭৫-৭৯ ৩.৭৫
এ- ৭০-৭৪ ৩.৫০
বি+ ৬৫-৬৯ ৩.২৫
বি ৬০-৬৪ ৩.০০
বি- ৫৫-৫৯ ২.৭৫
সি+ ৫০-৫৪ ২.৫০
ডি ৪৫-৪৯ ২.২৫
ডি- ৪০-৪৪ ২.০০
ই ৩৫-৩৯ ১.৭৫
ই- ৩৩-৩৪ ১.৫০
এফ ০-৩২ ০.০০

গ্রেডিং পদ্ধতিতে মূল্যায়িত ফলাফলঃ (বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়*)
লেটার গ্রেড নম্বর রেঞ্জ গ্রেড পয়েন্ট
এ+ ৮০-১০০ ৪.০০
এ ৭৫-৭৯ ৩.৭৫
এ- ৭০-৭৪ ৩.৫০
বি+ ৬৫-৬৯ ৩.২৫
বি ৬০-৫৬ ৩.০০
বি- ৫৫-৫৯ ২.৭৫
সি+ ৫০-৫৪ ২.৫০
সি ৪৪-৪৯ ২.২৫
ডি ৪০-৪৪ ২.০০
এফ ০-৩৯ ০.০০
(*বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গ্রেডিং পদ্ধতির ধরণ বিভিন্ন হওয়ায় শিক্ষা বোর্ডে প্রচলিত পদ্ধতি এখানে আলোচনার ভিত্তি ধরা হয়েছে)
গ্রেডিং পদ্ধতির বৈষম্যের সমাধানকল্পে শিক্ষা মন্ত্রনালয় হতে ০২/০৬/২০০৯ এবং ০২/০৩/২০১০ তারিখের প্রজ্ঞাপন মতে এসএসসি বা সমমান এবং এইচ এসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ক্ষেত্রে-
জিপিএ ৩.০০ বা তদুর্ধ্ব প্রথম বিভাগ
জিপিএ ২.০০ থেকে ৩.০০ এর কম দ্বিতীয় বিভাগ
জিপিএ ১.০০ থেকে ২.০০ এর কম তৃতীয় বিভাগ

 

অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সিজিপিএ এর ক্ষেত্রে-
৪.০০ পয়েন্ট স্কেলে ৫.০০ পয়েন্ট স্কেলে সমতুল্য শ্রেণি/বিভাগ
৩.০০ বা তদুর্ধ্ব ৩.৭৫ বা তদুর্ধ্ব প্রথম শ্রেণি/বিভাগ
২.২৫ বা তদুর্ধ্ব কিন্তু ৩.০০ এর কম ২.৮১৩ বা তদুর্ধ কিন্তু ৩.৭৫ এর কম দ্বিতীয় শ্রেণি/বিভাগ
১.৬৫ বা তদুর্ধ্ব থেকে ২.২৫ এর কম ২.০৬৩ বা তদুর্ধ্ব কিন্তু ২.৮১৩ এর কম তৃতীয় শ্রেণি/বিভাগ

সারণি-১ এ পদশ্রিত ফলাফল মূল্যায়নের নীতিমালা বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পায় যে, সে সময়ের একজন শিক্ষার্থী ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম শ্রেণি অর্জন করে আজ অবধি যেসব চাকরীতে আবেদন করতে পারছেন এবং পদোান্নতির ক্ষেত্রে যেসব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন ২০০১-২০১৯ এই ১৯ বছরে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হবার পর সমপরিমান নম্বর পেয়েও কেউ যদি “এ” গ্রেড থেকে “বি” গ্রেডে অবস্থান করে তবে সমান সুযোগ পাচ্ছেন না। যদিও তাদের নম্বর সেসময়ের প্রথম শে্িরণর ডিগ্রি অর্জনকারীদের থেকে কম নয়। বরং বেশী। অথচ বর্তমান সময়ে চকিুরীতে প্রবেশের জন্য অভিন্ন কোন নীতিমালা নেই। উপরে উল্লিখিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেই শিক্ষা মন্ত্রনালয় ক্ষান্ত। চোখ বন্ধ করে আয়েশ মুডে যেন ঘুমাচ্ছেন। যেই প্রতিষ্ঠানের (বিশেষত বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক নিয়োগ) যেমন ইচ্ছা তেমন সিজিপিএ এর শর্ত জুড়ে দিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জনবল নিয়োগ করছেন।। এতে করে অনেক গ্র্যাজুয়েট তাঁদের জ্ঞানকে সামন্য ফলাফল বিচুতির জন্য দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজে লাগানোর সুযোগ পাচ্ছেন না। এই বঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ আর হতাশা দিনে দিনে বাড়ছে! সুতরাং এই বৈষম্য নিরসন হওয়া খুবই জরুরী।
সবশেষে ২০০১-২০০৪ সাল পর্যন্ত যাঁরা ঐচ্ছিক বিষয় বাদে এসএসসি ও এইচএসি পাশ করেছেন তাঁদের জন্য বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। তাদের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং এইচএসসি সমমান পরিক্ষার ফলাফল জিপিএ ৩.০০ তেই প্রথম শ্রেণি গন্য করতে হবে। তাছাড়া এই চার বছরের শিক্ষার্থীগণ জীবনের একটি পর্যায়ে গিয়ে এমন বঞ্চনার শিকার হবেন যা পরবর্তীকে পুরো জাতির জন্য বহন করা বেশ কঠিন হবে।

সর্বশেষ ২০১৯ সালে এসে যে গ্রেডিং পদ্ধতির প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে এতে করে আগের দিনের (“এ+ = ৫.০০” এবং “এ = ৪.০০” যা বর্তমানে ৪.০০ এবং ৩.৭৫ সহ) অন্যান্য গ্রেডের সাথে সমন্বয় অর্থাৎ সমমান জিপিএ/সিজিপিএ কী হবে তা এখনই সমাধান করা দরকার। তাছাড়া এখানে “এই” এর ‘ই’ যোগ করে এর অর্থ এক্্িরলেন্স করার কী দরকার আছে তা ভেবে দেখা দরকার। শুধু বিদেশের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে আমাদের দেশের বিগত ১৯ বছরের বহমান ফলাফলধারী গ্র্যাজুয়েটদের জীবন ও ক্যারিয়াকে অবজ্ঞাবসত অন্ধকারের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া উচিত হবে না। একাডেমিক গ্রেডিং পদ্ধতির বৈষম্য দূরীকররণে তাই কতিপয় সুনির্দ্দিষ্ট সুপারিশমালা হলো:-

১) সকল ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ নম্বরকেই (সেখানে যে গ্রেড বা জিপিএ পড়বে পড়–ক) প্রথম শ্রেণি হিসেবে গন্য করে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারি করে সেই প্রজ্ঞাপন যথাযথ অনুসরনে বাধ্য করে সমতা ভিত্তিক জাতি গঠনে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।
২) বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন যেমন সকলের সমান সুযোগ লাভের লক্ষ্যে শিক্ষা, বয়স ও যোগ্যতাকে সাংবিধানিক প্রাধান্য দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নিয়োগের নিমিত্তে পরীক্ষা গ্রহন ও নিয়োগ প্রদান করে থাকে সেরকম অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও একটি নিদ্দির্দষ্ট নীতিমালায় এনে গ্রেডিং বৈষম্য দূর করা যেতে পারে।

৩) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের জন্য একাডেমিক ফলাফলের পাশাপাশি গবেষণার দক্ষতা, সৃজনশীলতা, জ্ঞান তৈরীর ক্ষমতা, দেশপ্রেম এবং তাঁর জ্ঞানের আর্ন্তজাতিকতার প্রতি বেশী গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বর্তমানে এদেশে শুধু একাডেমিক ফলাফলে ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এই একমাত্র যোগ্যতাকে ভেঙ্গে পৃথিবীর উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অনুশীলিত নীতি ও পদ্ধতি গ্রহন করতে হবে।

৪) নিয়োগ প্রাপ্তির পর সকল জবে (বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাডার জবে) একাডেমিক ফলাফলকে প্রাধান্য না নিয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে বেস্ট পারফরমেন্সকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে বেস্ট পারফরমেন্স এর কতিপয় ‘ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট প্রাকটিস ইন্ডিকেটরস’ নির্ধারণ করতে হবে। সেই দক্ষতা অর্জিত না হলে পদোন্নতির জন্য সুপারিশ না করা।

৫) শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ০২/০৬/২০০৯ এবং ০২/০৩/২০১০ ইংরেজি তারিখের প্রজ্ঞাপন মতে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের যে সমমান নির্ধারণ করা হয়েছে তা সর্ব ক্ষেত্রে প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে এ বৈষম্য নিরসন করা যেতে পারে।

তাই আসুন মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ একাডেমিক ফলাফলের একটি সুনির্দ্দিষ্ট মানে এসে দেশে ও জাতির কল্যাণে মেধাবিদের অগ্রাধিকার প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সকলে একাগ্র হই।

লেখক:
সহকারী অধ্যাপক, বিজনেস স্টাডিজ বিভাগ
নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *