তানোর থেকে সার পাচার,নীরব ভূমিকায় কৃষি অফিস 

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড
সারোয়ার হোসেন, তানোর: রাজশাহীর তানোর পৌরসভার বিসিআইসির সার ডিলার ও ডিলার সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আলী বাবু অধিক মুল্যে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে সার পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় ঘটে সার পাচারের ঘটনাটি। এঘটনায় কৃষকরা বিসিআইসির ডিলার বাবুর ডিলার বাতিলের দাবি তুলেছেন। কারন তিনি প্রায় সার পাচার করেন এবং চলতি আলু মৌসুমে বাড়তি দামে বিক্রি করেছেন সার বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার জুম্মার নামাজের দিকে এক ভটভটি করে ইউরিয়া সার নিয়ে যাচ্ছিল জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট বিএডিসির ডিলার আজিজুলের দোকানে। পথে মধ্যে কামারগাঁ ইউপির কচুয়া নামক রাস্তায় সার আটকিয়ে দেয় স্হানীয়রা।পরে বিভিন্ন মাধ্যমে ছেড়ে দেয়।  ভটভটি চালক মইনুল জানান জানান সার তালন্দ বাজারের ডিলার বাবুর দোকান থেকে কেশরহাট আজিজুলের দোকানে যাবে। তিনি দম্ভোক্তি প্রকাশ করে বলেন এভাবে কত সার নিয়ে গেলাম এবং তাদের কাছ থেকেও নিয়ে আসা হয় সার।
কৃষকরা জানান,মোহাম্মাদ আলী বাবু সাধারন কৃষকদের সার না দিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করেন বিভিন্ন এলাকায়।আর আলু রোপনের সময় প্রকাশ্যে বাড়তি দামে বিক্রি করেছেন সার।এমনকি তিনি বেশি দাম পেলে অনেক সময় মোকামেই বিক্রি করে দেন।অথচ কৃষি দপ্তর নিরব ভূমিকা পালন করেন।
সুত্রে জানা গেছে, এক উপজেলার সার কোনভাবেই অন্য এলাকায় দেওয়া যাবেনা।এমনকি এক ইউনিয়নের সার অন্য ইউপিতেও দেওয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু এসব নিয়মের কোন তোয়াক্কা করেন না ডিলার বাবু।
বিসিআইসির ডিলার মোহাম্মাদ আলী বাবু জানান এসব সামান্য বিষয় তার সারের প্রয়োজন ছিল দেওয়া হয়েছে। আমাদেরও প্রয়োজন হলে নেওয়া হয়।আপনি কি অন্য উপজেলায় সার বিক্রি করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে একই ধরনের কথা বলেন।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অন্য এলাকায় সার বিক্রির সুযোগ নেই।তবে খবর করার দরকার নাই আগে আপনারা প্রমানসহ অভিযোগ দেন ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *