বাঘায় একটি ব্রিজের অপেক্ষায় ৮ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাকো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড

আব্দুল হামিদ,বাঘা (রাজশাহী): রাজশাহীর বাঘা একটি ব্রীজ এর অপেক্ষায় রয়েেছ ৮টি চারের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। পদ্মা নদীর ওপর স্থানীয় কোন সেতু না থাকায় বাশের সাকোঁ দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।

 

তবে এর একটি স্থায়ী পদ্মাক্যানে ওপরএকটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে অতি সহজে উপজেলা সদরে যোগাযোগ করতে পারবেন। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এ ব্রিজটি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলার পদ্মা নদীর ক্যানেল এর উপর শিমুলতলা, চাঁদপুর, খায়েরহাট, হালিম মাস্টারের বাড়ির পাশের ঘাট রয়েছে। এইঘাটের যে কোনো স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে ৮টি গ্রামের মানুষ সহজে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এখানে চকরাজাপুর, কালিদাসখালী, লক্ষিনগর, দাদপুর, উদপুর, পলাশি ফতেপুর,ফতেপুর পলাশি চরসহ ৮টি চর রয়েছে। এই ৮টি চরের মানুষ বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আবার কখনো পায়ে হেঁটে পারাপার হন। নৌকায় পার হতে গিয়ে অনেকেই পদ্মায় নিখোঁজ হয়ে মারাও গেছেন। চরের মধ্যে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও কোনো উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ নেই। ফলে মাধ্যমিক পাস করার পর যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারণে অনেকেরই লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। যারা লেখাপড়া করে তাদের অনেক কষ্টে উপজেলা সদরে আসতে হয়। এছাড়া পদ্মার উপরের সদর এলাকার মানুষের চরের মধ্যে জমি চাষাবাদ করেন। তারাও অনেক কষ্টে আবাদ করতে হয়। এ এলাকা সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। চরগুলোতে বেগুন, পটোল, আলু, করলা, শিম, মুলা, গাজর, টমেটো, বরবটি, মসলা জাতীয় ফসল মরিচ, হলুদ, পিঁয়াজ, রসুন, আদা, ফলের মধ্যে আম, বরই, পেয়ারার চাষ হয়।

 

এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব কৃষিপণ্য বিক্রি হয়। এই উৎপাদিত কৃষিপণ্য খুব কম দামে নিজ এলাকায় ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করতে হয়।

চকরাজাপুরের নবনির্বাচিত মেম্বর জহুরুল ইসলাম বলেন, ব্রিজের অভাবে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিকভাবে বাজার জাত করতে পারছেন না। পদ্মা নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হলে আটটি চরের মানুষ কৃষিপণ্য সঠিকভাবে বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষ নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে পারবে।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম শেখ বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সহযোগিতায় চরে বিদ্যুৎ, পাকা রাস্তা, স্কুলের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। তবে একটি ব্রিজের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি ব্রিজটি পাশ হয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার বলেন, স্থানীয় সংসদ-সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় খায়েরহাট হালিম মাস্টারের বাড়ির পাশের ঘাট ৬০০ মিটার একটি ব্রিজের জন্য কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই অনুমোদন পাওয়া যাবে।

স্ব.বা/বা

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *