তানোর প্রতিনিধি: গভীর নলকূপ আছে দিব্বি, জমিও আছে, কিন্তু নেই সেচের ব্যবস্হা।চেয়ারম্যান এবং ক্ষমতাসীন দলের মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউপির সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের চমৎকার যাদুতে বিলের প্রায় জমি ও গভীর নলক‚পের ড্রেন ভেঙে পুকুরে রুপান্তর করে ফেলেছেন। তিনি গতবার স্হানীয় এমপির দোহায়ে বেশিরভাগ বিলের জমিতে পুকুর খনন করেছিলেন।এবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে পুনরায় বাকি পুকুর করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলেও একাধিক কৃষকরা নিশ্চিত করেন। তানোর সীমান্ত এলাকা বিলের বাঁধের পূর্বে ভিম নগর পালশা বিলে ঘটছে পুকুর খননের ঘটনা। পুকুর খননের কারনে শতশত বিঘা জমি পতিত পড়ে আছে। কিন্তু এমপি ও চেয়ারম্যান দেলোয়ারের ভয়ে কোন কৃষক মুখ খুলছেনা।ফলে চাষাবাদ করতে না পেরে চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার হাজারো কৃষক। এতে করে পতিত হয়ে পড়ে থাকছে জমি, পাচ্ছেনা ফসল,এভাবে চলতে থাকলে এক সময় খাদ্য ঘাটতির পাশাপাশি জমিগুলোও দিতে বাধ্য হয়ে পড়বেন কৃষকরা।
জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার বুরুজ ঘাট ব্রীজের পূর্ব উত্তরে মোহনপুর উপজেলার ধূরইল ইউপির ভিম নগর পালশা বিল রয়েছে। অতীতে এই বিলে বন্যার সময় মৎস্য জীবিরা মাছ আহরন করে জীবিকা নির্বাহ করত।আর বিলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতেন কৃষকরা।আবার এসব আবাদ উত্তোলন করে বোরো চাষ করতেন।কিন্তু চেয়ারম্যান দেলোয়ার কৃষকদের সব কিছুই ভঙ্গ করে দিয়েছেন ।
একাধিক কৃষকরা জানান, এই সময় বোরো রোপন শেষ হয়ে যেত।কৃষকদের জন্য গভীর নলক‚প থাকলেও পুকুরের কারনে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। আর চাষাবাদও করা যাচ্ছে না।এক সময় বাধ্য হয়ে বাকি জমি গুলো দিয়ে ফেলবেন পুকুর করার জন্য ।এমন পরিকল্পনা নিয়েই চেয়ারম্যান দেলোয়ার ও তার আত্মীয় স্বজনরা পুকুর খনন করেছেন অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে শনিবার দেখা যায়, বাঁধের পূর্ব দিকে রয়েছে ভিম নগর পালশা বিল। সেখানে একটি গভীর নলক‚পও আছে।বিলের অনেক জমি পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কারন গভীর নলক‚পের আন্ডার গ্রাউন্ড ড্রেন ভেঙে পুকুর খনন করা হয়েছে। তবে মুর্তির মত গভীর নলক‚প টি যেখানে, সেই জমিও পতিত অবস্থায় আছে।পুকুর খনন করে হেরোতে করে বাঁধ কেটে মাটি বহন করা হচ্ছে। যার কারনে ঝুকিতে পড়েছে বাঁধের অনেকাংশই।সেখানে বসে ছিলেন চেয়ারম্যান দেলোয়ারের চাচা।তার কাছে এসব জানতে চাওয়া হলে তিনি দম্ভোক্তি প্রকাশ করে বলেন চেয়ারম্যানের পুকুর,আমি তার চাচা সমস্যা কোথায়।
ধুরইল ইউপির চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান আমার পুকুর না।তবে যারা কাটছেন তারা আমার লোক।
এবিষয়ে জানতে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানোয়ারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি এসম্পর্কে অবগত না।খোজ নিয়ে ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলে এড়িয়ে যান।
স্ব.বা/ও