শেষযাত্রায় সুরসম্রাজ্ঞী, শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন মোদি

বিনোদন লীড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের মরদেহ নেওয়া হয়েছে মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্কে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ কিংবদন্তি এই শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন লতা মঙ্গেশকরের পরিবারের সদস্যরা। একে একে আসতে শুরু করেছেন বিশিষ্টরা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও লতা মঙ্গেশকরকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে সেখানে আসবেন। শিল্পীর শেষকৃত্যেও উপস্থিত থাকবেন মোদি।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হবে স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।

এদিকে, শিবাজি পার্কে বাজছে একের পর এক লতার গান। প্রয়াত শিল্পীর বাড়িতে উপচে পড়ছে ভক্তদের ভিড়। শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছেন বিশিষ্টরা। প্রয়াত শিল্পীর মরদেহ ঢাকা হয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকায়। হাতজোড় করে প্রণাম করে বিদায় দিয়েছেন লতার বোন আশা ভোঁসলে।

প্রয়াত শিল্পীর ছবিতে মাল্যদান ও ফুল দিয়ে লতাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

নেট মাধ্যমে আবেগতাড়িত হয়ে পোস্ট দিয়েছেন টুইঙ্কল খান্না। রাজেশ-কন্যা বাবার সঙ্গে লতা মঙ্গেশকর ও রাহুল দেব বর্মনের ছবি দিয়ে লেখেন, উনার (লতা) সুরের মূর্ছনা চিরদিন থেকে যাবে আমাদের হৃদয়ে।

এদিকে, লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে দু’দিনের শোকজ্ঞাপনের ঘোষণা কয়েছে কর্ণাটক। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজা বোম্মাই জানান, আগামী দু’দিন অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। বন্ধ থাকবে সব রকম সরকারি অনুষ্ঠান।

এছাড়া, সোমবার রাজ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার।

১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্ম হয় লতা মঙ্গেশকারের। জন্মপত্রে লতার নাম ছিল হেমা। পরবর্তী সময় তার বাবা দীনানাথ মঙ্গেশকারের এক নাটকের চরিত্র লতিকার নামানুসারে বদলে যায় হেমার নাম। আত্মপ্রকাশ ঘটে লতা মঙ্গেশকরের। মাত্র ১৩ বছর বয়সে গানের ক্যারিয়ার শুরু তার।

জন্মপত্রে লতার নাম ছিল হেমা। পরে বাবার এক নাটকের চরিত্র লতিকার নামানুসারে বদলে যায় হেমার নাম। আত্মপ্রকাশ ঘটে লতা মঙ্গেশকরের। মাত্র ১৩ বছর বয়সে গানের ক্যারিয়ার শুরু। সাল ১৯৪২। লতা যখন স্টুডিওতে গান গেয়েছেন, সে বছরেই জন্ম হচ্ছে অমিতাভ বচ্চনের।

তবে মুম্বাই প্রথমেই লতাকে গ্রহণ করেনি। প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায় তার শহিদ ছবিতে গান গাওয়ার ইচ্ছা বাতিল করে দিয়েছিলেন নিমেষেই। লতার গলা পাতলা, মন্তব্য ছিল তার। সংগীত পরিচালক গুলাম হায়দার অবশ্য সেদিন বেশ কটি কথা শুনিয়ে এসেছিলেন শশধরকে। জোর গলায় বলেছিলেন— প্রযোজকরা এর পর লতার পা ধরে তাদের ছবিতে গাওয়ার জন্য অনুরোধ জানাবে।

উপমহাদেশের এই প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রোববার সকালে ৯২ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন মারা যান।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

স্ব.বা/ রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *