সারোয়ার হোসেন, তানোর: রাজশাহীর তানোরে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আওয়ামী লীগের সম্মেলন বা ( কাউন্সিল) র দিন ধার্য হওয়ার পর যেমন ছিল উৎফল্লিত, তেমনিভাবে স্থগিত হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশা গ্রাস করেছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। আগামী ২১ মার্চ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার দিন ধার্য ছিল। সম্মেলনের ঘোষণার পর থেকেই তৃনমুলের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না কে সভাপতি হিসেবে দেখতে চেয়ে চলে তুমুল আলোচনা।এজন্যই সম্মেলনের স্হগিতের অন্যতম কারন বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ দিন চেয়ারম্যান ময়না আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের যাবতীয় সকল ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এজন্যই তাকেই সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে অনিবার্য কারনে সম্মেলন স্হগিতের খবরটি পাওয়া যায় ।এই খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীরা এক প্রকার হতাশ হয়ে পড়েন। অবশ্য রাব্বানী মামুন অনুসারীরা সম্মেলন না হওয়াতে কিছু টা উৎফল্লিত। কারন তাদের অনুসারীরা ফেসবুকে পুনরায় সভাপতি সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ায় অভিনন্দন। অথচ এসবের কোন ভিত্তিই নেই বলেও দাবি অনেকের। কারন এটা অনিবার্য কারনে স্হগিত, সারা জনমের জন্য না এটা বুঝতে হবে । তারা সেটাকেই পূজি করে ফেসবুকে নানা ধরনের পোস্ট দিচ্ছেন। যা বিব্রত কর অবস্হার সৃষ্টি হয়েছে বলেও সিনিয়র নেতারা মনে করছেন । কিন্তু সম্মেলন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। এমনকি সম্মেলন জমকালো আয়োজনে করার জন্য গত সোমবার বিশেষ বর্ধিত সভার ডাক দেওয়া হয়।কিন্তু তার আগেই রহস্য জনক কারনে সম্মেলন স্থগিতের চিঠি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এখবর জানার পর থেকে তৃনমুলের নেতাকর্মীদের হতাশা গ্রাস করেছে, তেমনি ভাবে দীর্ঘদিনের পদে থাকা নেতাদের অনুসারীরা আবেগে পদ আকড়ে রাখতে নানা ধরনের পোস্ট করছেন। এমনি অবুঝের মত বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদক কে পুনরায় দায়িত্বে রাখার অভিনন্দন নিয়ে। ফলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন কোনদিকে এই নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা।
জানা গেছে, চলতি মাসের ২১ মার্চ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের দিন ধার্য করা হয়। সম্মেলন সফল করতে সোমবারে বিশেষ বর্ধিত সভায় আহবান করা হয় ।কিন্তু রোববার অনিবার্য কারনে সম্মেলন স্থগিত করা হয়। যার কারনে তৃনমুলের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন।কারন বর্তমান সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রকাশ্যে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বিদ্রোহী কিংবা তাদের মদদ দাতারা কেউ পদে আসতে পারবেনা বলে সাব জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ । এজন্যই পদ হারানোর আতঙ্ক, দলীয় কর্মসূচি পালন না করা, সরাসরি স্হানীয় সাংসদের বিরুদ্ধে অবস্থান, জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে পৌর উপজেলা সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধিতা করেন বর্তমান সভাপতি রাব্বানী ও সম্পাদক মামুন। এর আগেও সম্মেলন হওয়ার ঘোষণা আসলেও কোভিট-১৯ ও পৌর এবং ইউপি ভোটের কারনে স্হগিত হয়েছিল বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। রাব্বানী মামুন সম্মেলন হলেই হারাতে হবে দলীয় পদ। যার কারনে নানা ভাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুলভাল বুঝিয়ে সম্মেলন স্থগিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেন বলেও বেশকিছু সিনিয়র নেতারা নিশ্চিত করেন। কারন সম্মেলন হলে তাদের পদপদবি না থাকার সম্ভাবনা বেশি বলেও ধারনা তৃনমুলের।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৩ সালের জানুয়ারী মাসে উপজেলায় ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে গোলাম রাব্বানী কে সভাপতি এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সাংসদের আশীর্বাদেই তারা পদ পান। এরপর জাতীয় নির্বাচনে সাংসদ নিজেও মনোনয়ন উত্তোলন করেন এবং রাব্বানীকে মনোনয়ন উত্তোলন করান। কারন কোন কারনে সাংসদের মনোনয়ন বাতিল হলে রাব্বানী থাকবে।তখন অবশ্য উপজেলা লীগ ও সহযোগী সংগঠন এক কাতারে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতেন।
বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে শুরু হয় ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগে ফাটল। ওই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান প্রয়াত মাহবুব জামান ওরফে ভুলু। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটে অংশ নেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মাদ আলী সরকার। তার হয়ে কাজ করেন রাব্বানীসহ তার অনুগতরা। তারা এই পদে তখন থেকেই রয়েছেন।বিগত ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক মামুন দলীয় প্রতীক না পেয়ে বিরুদ্ধে প্রার্থী না হলেও বিরুদ্ধে ছিল অবস্থান। আর সভাপতি গোলাম রাব্বানী তার আপন ছোট ভাই সাবেক যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম কে নৌকার বিরুদ্ধে ওয়ার্কার্স পার্টিতে যোগদান করিয়ে হাতুড়ি প্রতীকে ভোটে মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করান। কিন্তু নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ।
সবচেয়ে অবাক করার বিষয় সাধারণ সম্পাদক মামুন ২০০৯/১৪ সালের পরপর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী সভাপতি গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পরাজয় নিশ্চিত করেন।
সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নৌকা না পেয়ে সভাপতির ভাই হতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী শরিফুলে পক্ষে অবস্থান নেন। তার আগ পর্যন্ত মামুন সাংসদের পক্ষে থেকে রাব্বানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সভা সমাবেশ অকথ্য ভাষায় বক্তব্য দিতেন। ওই সময় সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা নেন মামুন। সেই মামুন এখন রাব্বানীর আত্মার প্রতিক হলেন কিভাবে এমন নানা প্রশ্ন রাজনৈতিক অঙ্গনে। তাহলে কি স্বার্থের জন্যই রাজনীতি। গত ২০২০ সালে মুন্ডুমালা পৌরসভার নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পান পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আমির হোসেন আমিন। কিন্তু ওই ভোটে রাব্বানীর একান্ত অনুসারী পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমানকে বিদ্রোহী প্রার্থী করেন । অবশ্য তাদের জগ মার্কার প্রার্থী সাইদুর ৬১ ভোটে বিজয়ী হন।পরোক্ষ প্রত্যাক্ষ ভাবে সভাপতি সম্পাদক বিদ্রোহী প্রার্থী কে যাবতীয় সহযোগিতা করেন । অবাক করার ব্যাপার ওই ভোটে নৌকার পক্ষে কোনদিন মুন্ডুমালায় আসেন নি। বিশেষ করে তানোর পৌর নির্বাচনে সভাপতি সম্পাদক ভোটের মাঠে ব্যাপক তৎপর ছিলেন। আর তাদের অনুসারীরা নৌকা না পেলেই বিদ্রোহী প্রার্থী। তাদের প্যানেলের পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইমরুল প্রথমবারের মত মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু চমৎকার কার আনুগত্যের পরিচয় দেন সাংসদ। কাঁকন হাট পৌর নির্বাচনে জনপ্রিয় ব্যক্তি আঃ মজিদ মাস্টার বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও সাংসদ তাকে প্রত্যাহার করান। মুন্ডুমালা ও তানোর পৌরসভা নির্বাচনে সাংসদ প্রতিনিধি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না নৌকার পক্ষে মাটি কামড়ে প্রার্থীকে বিজয়ী করতে অবিরাম চেষ্টা করেন।
এছাড়াও চলতি বছরে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টির ভোট গ্রহণ হয় ১১ নভেম্বর ২০২১ সালে । ওই ভোটেও প্রতিটি ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী দিলেও কোনদিন ভোটের মাঠে আসেন নি সভাপতি রাব্বানী ও মামুন । প্রতিটি ইউপি তে তাদের প্রার্থীরা পরাজিত হন। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় পাঁচন্দর ইউপি নির্বাচনে পুনরায় সভাপতি রাব্বানীর ভাই শরিফুল কে নৌকার বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট করান। এমনকি তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীরা মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট করেছিলেন। এজন্য ভোটের মধ্যে রাব্বানী ফেসবুকে পোস্ট করেন, অনেক দিন মোটরসাইকেলে চড়তে ইচ্ছে করছে, ০৭ থেকে লাকি ৭ হতে হবে।ভোটের ফলাফলের পর জয়জয়কার অবস্থা নৌকার। নৌকার বিজয়ে এক প্রকার ক্ষুব্ধ হয়ে পোস্ট করেন, চুরি করে পাশ করা মানে আসল জনপ্রতিনিধি না।এসব পোস্ট করে ব্যাপক সমালোচিত রাব্বানী ।
ইউপির ভোটের আগে থেকে উপজেলার মাটিতে সভাপতি ও সম্পাদক কে দলীয় কোন কর্মসূচিতে দেখা যায় নি। তবে গত ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সম্পাদক মামুন , সাংগঠনিক সম্পাদক পাপুল সরকার, মেয়র ইমরুল সহ তাদের অনুসারীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে পৌর হলরুমে সভা করেন। তবে ছিলেন না সভাপতি রাব্বানী।
বেশকিছু সিনিয়র নেতারা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি দু ভাগে বিভক্ত। গত ইউপি নির্বাচনের আগে দলীয় ভাবে ইচ্ছুক প্রার্থীদের বায়োডাটা নেওয়ার জন্য পরিষদ মিলনায়তনে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মারপিট ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় থেকে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে।
সম্মেলনের দিন তারিখ হওয়ার পর থেকে তৃনমুল নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছিল ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা । এর যথেষ্ট কারণও জানা যায় , দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এমন অবস্থা চলে আসছে আওয়ামী লীগে । দ্বন্দ্বও প্রকট আকার ধারন করেছে। জোরালো দাবি নেতৃত্ব পরিবর্তনের।
সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের মোবাইলে যোগাযোগ করে সম্মেলন স্হগিতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এটা কেন্দ্রীয় নেতারা বলতে পারবেন বলে এড়িয়ে যান। তার কয়েক দিন আগে তিনি জানান সম্মেলন আমাদের নেতৃত্বেই হবে প্রয়োজনে ভোটও হতে পারে।
সম্মেলন স্থগিতে বিষয়ে সভাপতি গোলাম রাব্বানীর মোবাইলে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করেন তিনি।
বাধাইড়,ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ, চান্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমানসহ একাধিক নেতারা বলেন, যারা প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী এবং মদদদাতারা কেউ দলীয় পদে আসতে পারবে না। আর সভাপতি সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীরা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, মদদ দিয়েছেন, তারা কোনভাবেই পদে থাকার অধিকার নেই। সম্মেলন হলেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নৌকার কান্ডারী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না অবশ্যই সভাপতি। যারা গত নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান হয়ে আবার নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে তাদের পদে থাকার অধিকার হারিয়েছে। এজন্যই সম্মেলন হলে কিভাবে বানচাল করা যায় এটাতেই মরিয়া হয়ে থাকেন তারা। ওরাও ভালো যানে সম্মেলন হলেই আমাদের জায়গা থাকবে না, হারাতে হবে দীর্ঘদিনের আকড়ে ধরে রাখা উচ্চ পদ।
পরিষদ চেয়ারম্যান জানান, আমি বিগত ২০১১ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে কলমা ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। ২০১৬ সালে প্রথম বারের মত দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়ে পুনরায় কলমা ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। এর পর ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জননেত্রী দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দেন। এর আগে উপজেলা নির্বাচনে দলের প্রার্থী পরাজিত হয়। দীর্ঘ দুটি নির্বাচন পর নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথম বারের মত আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সাংসদের পক্ষে এবং তারই দিক নির্দেশনায় দলীয়সহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। সভাপতির বিষয়ে বলা হলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে নেতৃত্বে আসতে চাইলেই আসা যায় না। দল যদি মনে করে তাহলে দায়িত্ব নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ গড়ে তলব বলেও আসা প্রকাশ করেন এই নেতা।
তিনি আরো মনে করেন নেতৃত্বের পরিবর্তন হওয়া দরকার আছে, নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলার সুযোগ দিতে হবে। আমি কোন নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে যায়নি।অনেকে বলেন সরনজাই ইউপির নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর আইনি জটিলতায় প্রার্থীতা বাতিল হয়। ফরম তুলেছিলেন আবু সাইদ। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী না থাকার কারনে সাইদের ভোট করা হয়েছিল। তিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান এটা কেন হবে।
স্ব.বা/বা