বাঘায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুরের অভিযোগ

রাজশাহী

বাঘা প্রতিনিধিঃ বাঘায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আব্দুস সালামের স্ত্রী চুমকি খাতুন বাদি হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বাঘা উপজেলার বাউসা মাঝপাড়া গ্রামে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহসপতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৩ বছরের শিশু কণ্যাকে সাথে নিয়ে স্থানীয় বাজারে যান, বাউসা মাঝপাড়া গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম(২৫)। তাকে দেখার পর, একই গ্রামের প্রতিপক্ষ হানিফ উদ্দীন (পিতা মোজাম উদ্দীন)পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তর্ক কিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। আত্মপক্ষ সমর্থনে বাজার থেকে নিজ বাড়িতে চলে যায় আব্দুস সালাম। পরে হানিফ উদ্দীনসহ ছইর প্রামানিকের ছেলে রফিকুল ইসলাম,হারেজ উদ্দেিনর ছেলে ফিরোজ উদ্দীন,রফিকুর ইসলামের ছেলে শামীম উদ্দীন ও হারেজ উদ্দীন (পিতা অজ্ঞাত) ও তার দলবল বাঁশের লাঠি,লোহার রড,হাসুয়া,রামদা ও ধারালো ছোরা হাতে নিয়ে আব্দুস সালামের বাড়িতে হামলা করে।

আত্বীয়রক্ষায় নিজ বাড়ির ঘরের দরজা বন্ধ করে সেখানে আশ্রয় নেয়। ওই সময় প্রতিপক্ষরা আশ্রয় নেওয়া ঘরের দরজায় ও টিনের বেড়ায় বাঁশের লাঠি,লোহার রড ইট পাটকেল মেরে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। প্রতিপক্ষদের হামলায় দরজা ও টিনের বেড়া আংশিক ভেঙে ক্ষতি হয়।

আব্দুস সালামের স্ত্রী চুমকি খাতুন বলেন,পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারন করলে থানায় গিয়ে খবর দেন । তখন তার স্বামী ঘরের ভেতরেই ছিল। পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পরে প্রতিপক্ষেদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

আব্দুস সালাম জানান, অভিযোগ করার পর প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। বছরখানেক আগে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান আব্দুস সালাম।

প্রতিপক্ষদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তাদেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর মহসিন আলী জানান, আগে হানিফ উদ্দীনকে বাজারে মারধর করে বাড়িতে চলে যায় আব্দুস সালাম। পরে তার পক্ষের লোকজনের যাওয়া দেখে ঘরের দরজা বন্ধ করে আশ্রয় নেয়।

অভিযোগ তদন্তকারি অফিসার সহকারি উপ পরিদর্শক (এএসআই) সালজার করিম জানান,বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা রয়েছে। সমাঝোতা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *