সারোয়ার হোসেন: কে এই গোদাগাড়ী উপজেলার রাতারাতি কোটিপতি বুনে যাওয়া শীর্ষ চোরাকারবারি শাহাদাত হোসেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলার মাদারীপুর গ্রামে এই শাহাদাত হোসেনের বাড়ি। শাহাদাত হোসেন একসময় কামলা হিসেবে পরের জাল দড়ি ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন পুকুর ও পদ্মায় মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো। ছিলোনা তেমন বসবাসের জন্য ভালো বাড়ি ঘর। কিন্তু এখন আর শাহাদাত হোসেনকে পরের জাল দড়ি ভাড়া নিয়ে মাছ শিকার করতে হয়না। থাকতে হয়না ভাঙ্গাচুরা বাড়িতে।
কোন অদৃশ্য শক্তির বলে শাহাদাত হোসেন রাতারাতি বুনে গেছেন কোটিপতি। বর্তমানে শাহাদাত হোসেনের রাজশাহী কোর্ট পাড়ায় রয়েছে চারতলা বিশিষ্ট ২টি ফ্ল্যাট বাড়ি। নিজের নামে ও বেনামে করেছেন প্রায় ৫০বিঘা ধানি জমি। যার ফলে, শাহাদাত হোসেনের রাতারাতি কোটিপতি বুনে যাওয়া নিয়ে এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও বইছে স্থানীয়দের মধ্যে আতংক।
স্থানীয়দের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে যেখানে মানুষ দিনরাত ব্যবসা বানিজ্য করেও পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে শাহাদাত হোসেনের মত একজন দিনমজুর রাতারাতি কি ভাবে কোটিপতি বুনে যান। গোদাগাড়ী উপজেলার মাদারীপুর গ্রামের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকিছু স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই শাহাদাত হোসেন কিছু দিন আগে পেটের ভাত জোগাড় করতে মানুষের বাড়িতে কামলা দিতেন,জেলেদের সাথে দিনমজুরি হিসেবে মাছ শিকার করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এমনকি একবেলা কাজ না করলে জুটতো না পেটের ভাত। অথচ সেই শাহাদাত এখন কোটিপতি। নেই খাওয়া পরা থেকে শুরু করে বিলাসিতার অভাব। সকাল বিকেল মদ খেয়ে দামী গাড়িতে চড়ে এলাকাজুড়ে দাপিয়ে বেড়ান শাহাদাত হোসেন।
জানা গেছে, জেলার এক পদপদবী হারানো জনবিচ্ছিন্ন নেতার ছত্রছায়ায় থেকে মাদক কারবারির শীর্ষে উঠে এসেছেন এই শাহাদাত হোসেন। যা প্রশাসনের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও দুদকের তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে শাহাদাত হোসেনের চোরাকারবারি সত্যতা। শাহাদাত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কাজকর্ম করেই কোটি টাকার মালিক হয়েছি,আমার বিরুদ্ধে একশ্রেণীর মানুষ মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
জেলা ডিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারির সাথে জড়িত বলে বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে,ইতিমধ্যে তাকে টার্গেটে নেয়া হয়েছে,কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, যেকোন সময় তাকে আটক করে হেফাজতে নেয়া হবে।
স্ব.বা/বা