পদ্মা পাড় ধসে নিখোঁজ বৃদ্ধ, পরদিন আসতে চেয়েছে ফায়ার সার্ভিস

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা পাড়ের মাটি ধসের সাথে নদীতে পড়ে মজা মাঝি নামের ৬২ বছরের এক বৃদ্ধ নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আসতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) দুপুর ৩টায় উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

মজা মাঝি মৃত আলী মাঝির ছেলে।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর চৌমাদিয়া ওয়ার্ডের মেম্বর আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত ৮টা পর্যন্ত তার কোন সন্ধান মেলেনি। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স,বাঘা থানায়সহ নৌ পুলিশকে অবগিত করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকালের দিকে তারা ঘটনাস্থলে আসবেন।

আব্দুর রহমান জানান, ভাঙনের কবলে পড়ে ১৫ দিন আগে মজা মাঝিসহ আরো কয়েকজনের বাড়ি সরিয়ে নিয়েছে। তাদের বসতভিটা এখন নদীর গর্ভে। সেখানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন মজা মাঝি ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে ভাঙন দেখছিলেন। এ সময় পদ্মা পাড়ের মাটি ধসের সাথে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন মজা মাঝি। সে সরল পৃকৃতি মানুষ ছিল বলে জানান আব্দুর রহমান। তার শারীরিক প্রতিবন্ধী এক ছেলে,এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে।

ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নৌকাযোগে চৌমাদিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়,নিখোঁজ মজা মাঝির স্ত্রী মজিরন ও ছেলে ইসরাত আলী ও স্বজনদের আহাজারি। মরদেহের সন্ধানে পদ্মাপাড়ে অপেক্ষা করছিলেন চৌমাদিয়া গ্রামের নারি-পুরষেরা।

ভাঙন কবলিত পদ্মার পাড় থেকে প্রত্যক্ষদর্শী আওলাদ দেওয়ান জানান, তাকে নদীর পাড়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখছিলেন। কিছুক্ষন পরে তাকে আর দেখতে পাননি। পরে খোজঁ নিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন, মাটির চাপ ভেঙে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন।

পদ্মাপাড়ের মুদি ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম জানান,তার দোকান থেকে উঠে পদ্মার পাড়ে গিয়েছিল। নিখোঁজের পর নৌকা ও জাল নিয়ে খোঁজা খুঁজি করে সন্ধান মেলাতে পারেননি।

স্থানীয়রা জানান,গত ১ মাসে অন্তত ৮০ টি পরিবার ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটে মাটি হারিয়েছে।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডিএম মনোয়ার হোসেন বাবলু বলেন, আগে থেকেই ভাঙন চলছিল। বর্তমানে পানি বৃদ্ধির সাথে ভাঙ্গন বেশি আকার ধারন করেছে। সেই ভাঙনে পদ্মা পাড়ের মাটি ধসের সাথে নদীতে পড়ে মজা মাঝি নিখোঁজ হয়েছে।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান,বিষয়টি জানার পর ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের টিম আসতে চেয়েছে।

স্ব.বা/ম

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *