তানোরে কবে হবে ঝুকি মুক্ত ব্রীজের রাস্তা দফায় দফায় বরাদ্দ 

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি: বিগত ২০০৬ সালে রাজশাহীর তানোরে শীবনদীর উপর নির্মিত সেতুর কাজের ভিত্তি প্রস্হর এবং সেতুর কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ কোনভাবেই শেষ হচ্ছে না। অবশ্য ২০০৬ সালে সেতুর ভিত্তি প্রস্হর উদ্বোধন হলেও ওয়ান এলেভেনে থমকে যায় কার্যক্রম। বিগত ২০০৮ সালে আওয়ালীলীগ সরকার গঠন ও রাজশাহী -১ তানোর গোদাগাড়ী আসনে প্রথমবারের মত এমপি নির্বাচিত হন ওমর ফারুক চৌধুরী। শুরু হয় পুরোদমে  সেতুর কাজ ও শেষ হলেও কোন ভাবেই শেষ হচ্ছে না সংযোক সড়কের কাজ। এযেন এক অলৌকিক সড়কে পরিনত হয়েছে। শুধু মাত্র ঠিকাদার ও কর্তাবাবুদের উদাসিনতায় শেষ হচ্ছেন কাজ বলে  মনে করছেন স্হানীয়রা। এতে করে অলৌকিক সড়কে আজব বরাদ্দে চরম ক্ষুব্ধ।
সুত্রে জানা গেছে, তানোর ও মোহনপুর উপজেলা বাসীর প্রানের দাবি ছিল শীবনদী বা বিল কুমারি বিলের উপর সেতু নির্মানের। সেই আসা পুরুন হলেও সংযোগ সড়কের কাজ বছরের পর বছর ধরে করলেও কোনকিছুই ঠিক হচ্ছেনা। কিছু দিন ভালো তো আবার বেহাল, কাজ শুরু করতে দেখা গেলেও শেষ হয় না। সেতুর পশ্চিম দিকের রাস্তা হেয়ারিং করা, কোনভাবে চলাচল করা যায়। কিন্তু পূর্ব দিকের রাস্তার চরম বেহাল দশা। গত অর্থ বছরে পূর্ব দিকের রাস্তার কাজের জন্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। কাজটি করছেন রাজশাহীর ঠিকাদার আব্দুর রশিদ। তবে প্রায় আড়াই তিন মাস ধরে লাপাত্তা ঠিকাদার।
স্হানীয়রা জানান, দেশের মেগা প্রকল্প বা শতশত সেতু নির্মান হচ্ছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলেও তানোরের শীবনদীর উপর সেতু সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হচ্ছে না।
ইদ্রিস নামের এক স্হানীয় বাসিন্দা জানান, আমার জীবনে এমন অলৌকিক প্রকল্প দেখিনি। এত বছর লাগে কাজ শেষ করতে জানা ছিল না। আবার সময় না লাগলে কর্তাদের পকেট ভারি হবে কি করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর পৌর সদর গোল্লাপাড়া ফুটবল মাঠ থেকে শুরু হয়েছে সংযোগ সড়ক। এখান থেকে সেতু পর্যন্ত সংযোগ সড়কটি দিয়ে কোনভাবে চলাফেরা করা যায়। সেতুর পূর্বদিকের সংযোগ সড়ক ও সেতুর মুখ ও সড়কের চরম বেহাল দশা।সামান্য বৃষ্টি  হলেই গাড়ী তো দুরে থাক পেয়ে হেটে যাওয়া যায়না। গোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী নজরুল, দেলোয়ার, মাইনুল,  জলিল, অলকসহ অনেকে জানান, আমরাও বলতে পারছিনা যে এই সড়কের কাজ শেষ হচ্ছে না, নাকি করছে না, আমাদের মনে হয় এই সড়ক হবে কিনা সন্দেহ। কারন কাজ শেষ হলে তো বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।
এদিকে এই সংযোগ সড়কের সাথে মোহনপুর উপজেলার তুলসি বিলের রাস্তা কয়েক মাস আগে করলেও ফেটেছে যেমন তেমনি ভাবে চরম ঝুকির সৃষ্টি হয়েছে।
মোহনপুর এলজিইডি অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, নতুন ভাবে মাটি তুলে রাস্তা করার জন্য ফেটে গেছে। প্রায় নয়শো কিলোমিটার রাস্তার বিপরীতে বরাদ্দ প্রায় ৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে অল্প সময়ের মধ্য মেরামত করা হবে।
তানোর এলজিইডি প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, আগে কি হয়েছে সেটা জানিনা, তবে এবার সংযোগ সড়ক মুজবুত ভাবে পাইলিং ব্লল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। বৃষ্টির জন্য এবং বিলে পানি থাকায় কাজ বন্ধ আছে।
জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে দুই রাস্তার বিষয়ে কথা বলা হলে তিনি জানান, উপজেলা প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলে দ্রুত সমাধান করা হবে।
স্ব.বা/বা
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *