বাঘা প্রতিনিধি : বাঘায় প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি মঞ্জু হাসপাতাল ও মঞ্জু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ডাঃ মিঠন কুমারের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দুঃচিন্তা দূর হলো দরিদ্র দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর । সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ) রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী বিদ্যুৎ কুমার দাসকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে নগদ ৮ হাজার টাকা প্রদান করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার পূঁজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজিত কুমার পান্ডে (বাকু),আড়ানি পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান নাইম খান, বিদ্যুৎ কুমার দাসের বড় ভাই পরিমল দাস।
জানা যায়,অভাবের সংসারে অর্থনৈতিক সমস্যায় ভর্তি নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছিল বিদ্যুৎ কুমার দাস। বিষয়টি জানার পর ভর্তির ব্যবস্থাসহ লেখাপড়ার পাশাপাশি তার পার্ট টাইম জবের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জানান ডাঃ মিঠন কুমার।
তিনি বলেন,দরিদ্র পরিবার থেকে আমার বেড়ে উঠা। অর্থের কষ্টটা ভাগাভাগি করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।
বিদ্যুৎ কুমার দাস জানান,তার বাবা একজন জুতার মিস্ত্রী। বড় ভাই সেলুনে কাজ করেন। সংসারে দৈন্যতা ছিল নিত্য সঙ্গী। এর মাঝে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিষয়ে ১৯তম স্থান অর্জন করেও ভর্তির টাকা নিয়ে দুঃচিন্তায় ছিলাম। স্বপ্ন পুলিশ ক্যাডার হওয়ার।
বিদ্যুৎ কুমার দাস রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার আড়ানী পূর্বপাড়া মহল্লার আনন্দ কুমার দাস ও ভাদুরী কুমারী দাসের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বিদ্যুৎ ছোট। ছয় সদস্যের সংসার চলে আনন্দ কুমার দাস ও বড় ছেলে পরিমলের আয় দিয়ে। বাড়ির ভিটার জমিই সম্বল।
আরেক দরিদ্র মেধাবী চুমকি খাতুন আর্থিক সহযোগিতা করে ভর্তির ব্যবস্থা করেছেন উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান। ছোট বেলায় পির্তৃহারা চুমকি খাতুন দারিদ্রের সাথে লড়াই করে লেখাপড়া করেছে। এ বছর মেধা তালিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও আর্থিক সংকটে ছিল। তার মা উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অধীনে একটি প্রজেক্টে মাটি কাটার কাজ করেন। চুমকি খাতুন বাঘা পৌরসভার উত্তর মিলিক বাঘা গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে।
মা নাজমা বেগম জানান, চুমকি খাতুনের বয়স যখন দেড় বছর তখন তার স্বামী মারা যান। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি মেয়ের লেখা পড়ার খরচ যুগিয়েছেন। কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান,বিষয়টি জানার পর ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
স্ব.বা/ম