তানোরে মা ছেলে হারানো শোকাহত পরিবারের পাশে জামায়াতের নেতারা

রাজশাহী

সারোয়ার হোসেন, তানোর: রাজশাহীর তানোর বিদ্যুতের তারে মা ও কোলের শিশুর একসাথে মারা যাওয়া সেই শোকাহত পরিবারের পাশে সমবেদনা জানাতে আসেন সাবেক এমপি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বর্ষিয়ান ইসলামী চিন্তাবিদ অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ জেলা ও উপজেলার নতারা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে পাওয়া যায়। আমি ই বাংলাদেশ নামের আইডি থেকে পাওয়া গেছে।

এঘটনায় জেলা উপজেলা জুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন জামায়াতের নেতারা। অনেকে কমেন্ট না করলেও সাব বলছেন, তারা এত নির্যাতিত, এত পরিমান জুলুমের সীকার সেটা কল্পনাতীত। এমনও সময় গেছে বাড়ি তো দুরে থাক কোন জঙ্গলে জমি নির্জনে রাতের পর রাত দিনের পর দিন তাদের কাটাতে হয়েছে। দেশব্যাপী তাদের বিভিন্ন সামাজিক কাজে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হলেও এদেশের কিছু রাম বামদের সহ্য হয় না। বাধাইড় ইউনিয়ন( ইউপির) ১ নং ওয়ার্ড বাধাইড় বদলপুর গ্রামে গত রবিবার বিদ্যুৎ স্পর্শে মা ও তিন বছরের কোলের শিশু একসাথে মারা যান। এঘটনায় গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় যেমন নেমে এসে শোক তেমনি ভাবে হযরতের বাকরুদ্ধ পরিবারের পাশে এসে দাড়ালেন জামায়াত নেতারা। তাদের এমন সহমর্মিতায় ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হচ্ছে যেমন, ঠিক তেমনি ভাবে প্রশ্ন উঠেছে এত বেদনাদায়ক ঘটনায় শীর্ষ দুই দলের কোন খবর নেই এমন প্রশ্ন এলাকা জুড়ে।

জানা গেছে, চলতি মাসের ১৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরের দিকে উপজেলার বাধাইড় ইউপির বাধাইড় বদলপুর গ্রামের হযরত আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও তিন বছরের কোলের শিশু বিদ্যুৎ স্পর্শে মারা যান। কোলের শিশু ও স্ত্রীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে হয়ে পড়েন হযরতসহ পরিবারের সদস্যারা। এঘটনার পর দিন ১৭ অক্টোবর সোমবার এশার নামাজের পর হযরতের পরিবারকে সমবেদনা ও আর্থিক সহযোগিতা এবং আখেরাতের প্রস্তুতি নামক একটি বই দেন।

এর আগে সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান সহ নেতারা বাধাইড় ঢালানপাড়া মসজিদে এশার নামাজ আদায় ও মুসল্লীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, কোন মানুষ মারা গেলে তার জন্য কান্নাকাটি করা যাবেনা, বরং মৃত্যু ব্যাক্তির জন্য দোয়া ও ধর্য্য ধারন করতে হবে। যদি কোন মুসলিম এটি করতে পারে তাহলে, আল্লাহ ওই ব্যাক্তির জন্য জান্নাতে একটি বাইতুল হামদ্ নামক ঘর তৈরি করে দিবেন। মৃত্যুর ফায়সালা একমাত্র মহান রবের হাতে। কার কিভাবে মৃত্যু দিবেন সেটা বলা খুবই কষ্টকর। আমরা এসেছে শুধু মাত্র শোকাহত পরিবারকে সান্তনা দিতে। একজন ভাই হিসেবে আরেক ভায়ের কঠিন মুহুর্তে পাশে দাড়াতে। মহান আল্লাহ তায়ালা হযরতের পরিবারকে হেফাজত করুন এবং ধর্য্য ধারন করার তওফিক দিন। এ সময় রাজশাহী পশ্চিম জেলার আমীর, অধ্যাপক মোঃ আব্দুল খালেক, তানোর থানা আমীর,মোঃ আলমগীর হুসেন,
মুন্ডমালা পৌরঃ আমীর,মাওঃ মোঃ আনিসুর রহমানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *