শি জিনপিংকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

আন্তর্জাতিক লীড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুননির্বাচিত হওয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আপনার পুনঃনির্বাচন আপনার নেতৃত্ব, সাফল্য ও দৃষ্টিভঙ্গির ওপর চীন এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের আস্থার একটি উপযুক্ত স্বীকৃতি। সিপিসির ২০তম কংগ্রেসের সফল সমাপ্তির জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, সিপিসির প্রথম শতবর্ষের লক্ষ্য হলো ২০২০ সালের মধ্যে একটি মধ্যপন্থী সমৃদ্ধ সমাজ গঠন করা। এই টার্গেট নিয়েই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১২ সালে সিপিসির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে।

এর আগে কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস অধিবেশনে তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি শি জিনপিং। পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুংয়ের পর তিনিই চীনের সবেচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন।

এদিন শি জিনপিং বলেন, বিশ্বের চীনকে প্রয়োজন। আমাদের ওপর যে আস্থা রেখেছেন তার জন্য আমি পুরো পার্টিকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কমিউনিস্ট পার্টি এবং মানুষ যে আস্থা রেখেছে তা প্রমাণ করার জন্য দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

এর আগে গ্রেট হলে সিসিপির পঞ্চবার্ষিক সম্মেলন শেষ হয় শনিবার। পার্টিতে ব্যাপক রদবদল এসেছে। লি কেকিয়াংকে সরিয়ে শি’কে পার্টির প্রধান করা হয়েছে। পূর্ণ তালিকা প্রকাশ না করেই বেলা ১১টায় প্রায় ২০০ জ্যেষ্ঠ নেতা নিয়ে সিসিপির নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।

৫ বছর পর পর কংগ্রেসে অনুষ্ঠিত হয় চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে। সেই হিসেবে গত ১০ বছর ধরেই পার্টির সর্বোচ্চ ফোরামের প্রধান হিসেবে আছেন শি জিনপিং।

রবিবার কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় বৈঠকের পরপরই শি জিন পিং দলটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার অবস্থান নিশ্চিত করছেন। তার আগে গ্রেট হলে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে অংশ নেওয়া সদস্যরা হাত তুলে সমর্থন জানিয়ে নতুন সংবিধান অনুমোদন করেন।

সিসিপির সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা ৬৯ বছর বয়সী শি জিনপিং। তিনি একই সঙ্গে দলের এবং চীনের সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে অব্যাহতভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। প্রথম কমিউনিস্ট সময়কার মাও সেতুংয়ের পর তিনিই হলেন সবচেয়ে শক্তিধর নেতা। মাও সেতুং মারা যান ১৯৭৬ সালে।

স্ব.বা/রু

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *