তানোরে মঞ্চে সভাপতিত্ব নিয়ে মারপিট আহত ১০ তোপের মুখে পলায়ন

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে বিএনপির আলোচনা সভার মঞ্চে সভাপতিত্ব করা নিয়ে মারপিট ও প্রধান অতিথি অবশরপ্রাপ্ত মেজর শরিফ তোপের মুখে পালিয়ে গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন(ইউপির) মাদারিপুর জিয়া পরিষদ চত্বরে ঘটে ঘটনাটি। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেতাকর্মীরা। এদিকে সভা পন্ড ও মারপিটের জন্য মেজর শরিফ ও  আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নান ও পৌরসভার কিছু নেতাদের দায়ী করেন কামারগাঁ ইউপির নেতাকর্মীরা।
দলীয় সুত্র জানায়, উপজেলার কামারগাঁ ইউপি বিএনপি দুগ্রুপের বিবাদ মান দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য অবশরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মী দের নিয়ে আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি সভায় কোন ব্যানার বা চিঠি করা যাবে না। কিন্তু কামারগাঁ ইউপি বিএনপির একাংশের সভাপতি চাপড়া মহিলা কলেজের প্রভাষক জাহিদ ও সম্পাদক মোজাম্মেল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউরের স্বাক্ষরিত চিঠি করা হয় এবং মঞ্চে ব্যানারও লাগান, সভা শুরুতেই জাহিদকে মঞ্চের সভাপতিত্ব ঘোষনার সাথে সাথেই শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এরই এক পর্যায়ে তুমুল মারপিট শুরু হয়। মারপিটে তানোর পৌরসভার কিছু নেতা ও প্রায় ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন বলে নিশ্চিত করেন ইউপির বৃহত্তর অংশের সভাপতি খলিলুর রহমান খলিল। গুরুতর আহত ইউপি বিএনপির কর্মী রাজ্জাককে সন্ধ্যার পরে দেখতে যান খলিলসহ নেতারা।
 ইউপির বৃহত্তর অংশের সভাপতি খলিল ও সম্পাদক ডায়মন্ড সহ নেতাকর্মীরা জানান, যেখানে মেজর শরিফ সাব জানিয়ে দিয়েছেন কোন চিঠি ব্যানার করা যাবে না। কিন্তু জাহিদের পক্ষে  ইউপির তেমন নেতাকর্মী না থাকলেও পৌর সদরের কিছু নেতাদের ইন্ধনে এসব ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন। আবার মঞ্চে জাহিদকে সভাপতিত্ব করার ঘোষনা দেওয়া মাত্রই চরম উত্তেজিত হয়ে পড়েন নেতাকর্মী রা। তবে মেজর পালিয়ে যাননি তিনি বক্তব্য দিয়ে দ্রুত সভা শেষ করেন। এটা অত্যান্ত দু:খ জনক ঘটনা।
আরেক অংশের সভাপতি জাহিদ বলেন, আমি মেজরের কাছে ছিলাম, মারপিট হয় নি ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
মারপিটের কথা স্বীকার করে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান হান্নান বলেন কামারগাঁ ইউপি বিএনপির দুটি পক্ষ রয়েছে। মঞ্চে সভাপতিত্ব নিয়ে কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে ঠ্যালাঠেলি হয়েছে বলে এড়িয়ে যান।
কামারগাঁ ইউপি বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতারা জানান, যেখানে দুটি পক্ষ রয়েছে। মঞ্চে অন্য কাউকে সভাপতির নাম বললে মারপিট হত না। এটা মেজর শরিফের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাব। তিনি বিবাদমান গ্রুপের সমাধান না করে জাহিদ গ্রুপকে সমর্থন দিতে মরিয়া। তাকে বোঝা উচিৎ ছিল ইউপির বৃহত্তর অংশ খলিলের পক্ষে। এর আগেও মেজর কে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছিল। তারপরও তিনি যদি না বোঝেন তাহলে কি বলার আছে। আর পৌর সদরের কিছু নেতা আছে যারা প্রায় জায়গাতেই গোলমাল করেন।
অবশরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করেন নি।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *