ভারতকে হারিয়ে করে ফাইনালে ইংল্যান্ড

খেলাধুলা লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: বড় ম্যাচ, বড় লক্ষ্য, প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত- কোনোকিছুই যেন ভয় ধরাতে পারেনি ইংলিশ ওপেনারদের মনে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো মঞ্চে ভারতীয় বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। এ দুজনের অপরাজিত ব্যাটে কোনো উইকেট না হারিয়েই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।

অ্যাডিলেড ওভালে বিশ্বকাপের ২য় সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ইংলিশদের ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল ভারত। ২৪ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে সে ম্যাচ জিতে নিয়েছে জস বাটলারের দল।

দাপুটে এ জয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠল ইংলিশরা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে গতকাল ফাইনালের টিকিট কেটেছে বাবর আজমের দল।

২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরে একবার শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। এর ৬ বছর পর ভারত বিশ্বকাপে আবারও শিরোপার মঞ্চে আসে ইয়ন মরগানের দল। তবে কার্লোস ব্রাথওয়েটের ঝড়ে সেবার ক্যারিবিয়দের কাছে শেষ ওভারে হারে ইংলিশরা।

অ্যাডিলেডের সেমিফাইনালে আজ টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। অধিনায়কের মান রেখেছেন ইংলিশ পেসাররা। পাওয়ারপ্লেতে ভারতীয় ব্যাটারদের চড়াও হওয়ার কোনো সুযোগ দেননি স্যাম কারান-ক্রিস ওকসরা।

দলীয় ৯ রানে লোকেশ রাহুলের উইকেট হারায় ভারত। প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান করতে পারে তারা। পরে ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়ান বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা। তবে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৩৮ রানের বেশি করতে পারেনি ভারত।

দ্বিতীয় উইকেটে কোহলির সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন রোহিত। ভারতের অধিনায়ককে ফিরিয়ে সে জুটি ভাঙেন ক্রিস জর্ডান। বড় স্কোর করতে পারেননি সুর্যকুমার যাদবও। ১০ বলে ১৪ রান করে ফেরেন আদিল রশিদের বলে।

চতুর্থ উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন কোহলি। ৩৯ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে পরের বলে আউট হন ডানহাতি এ ব্যাটার। শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তার ৩৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংসে ১৬৮ রানের সংগ্রহ পায় ভারত।

জবাবে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড। তাদের দুই ওপেনারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সামনে পাত্তাই পাননি ভারতীয় বোলাররা। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৩ রান তোলেন জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস।

পাওয়ারপ্লের পরও কমেনি রানের গতি। উইকেট নেওয়া তো দূরের কথা, উইকেট পতনের তেমন কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। ১৪তম ওভারে একবার বাটলারের ক্যাচ উঠলেও সেটি তালুবন্দি করতে পারেননি সুর্যকুমার যাদব।

শেষ পর্যন্ত ৪ ওভার হাতে রেখেই কোনো উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।

৪ চার ও ৭ ছয়ে ৮৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা অ্যালেক্স হেলস। ৪৯ বলে ৮০ রান করে উইকেটের অপর প্রান্তে অপরাজিত ছিলেন বাটলার।

বড় মঞ্চে একেবারে অসহায়ের মতো হেরে মাঠ ছাড়ে ভারত।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *