তানোরে সেই মুচির বউকে নিয়ে উধাও চেয়ারম্যানের সহচর

রাজশাহী

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন( ইউপির) চেয়ারম্যান ইউপি আ”লীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি ফরহাদের একান্ত সহচর আফজাল হোসেন সেই মুচির বউকে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। উপজেলার হাতিশাইল গ্রামে ঘটে রয়েছে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি। এঘটনায় এখনো তাদের সন্ধান মিলেনি। ফলে এসবের জন্য ওই গ্রামের বাসিন্দারা চেয়ারম্যান ফরহাদকেই দায়ী করছেন। কারন এঘটনার কয়েকমাস আগে আফজালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলেও চেয়ারম্যান ধামাচাপা দেন। মুলত এজন্য আফজালের ছেলে মেয়ে থাকার পরও তিনি সংখ্যালুঘু মুচির স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হওয়ার সাহস পেয়েছেন। ওই সময় অভিযোগ ধামাচাপা না দিলে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হত না বলে মনে করেন গ্রামবাসীরা। এতে করে দুটি সংসার ও কয়েকটি জীবন অন্ধকারে। ফলে চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে একের পর এক নারী কেলেংকারীর ঘটনা ঘটেই চলেছে ইউপির বিভিন্ন গ্রামে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে উপজেলার কামারগাঁ ইউপির হাতিশাইল গ্রামের আলামের পুত্র আফজাল হোসেন ওই গ্রামের সংখ্যালুঘু মুচির স্ত্রীর সাথে পরকিয়া প্রেম করে বাড়িতে আপত্তিকর অবস্থায় গ্রামের লোকজন দেখতে পেয়ে চেয়ারম্যান ফরহাদকে অবহিত করেন। আফজাল চেয়ারম্যানের পুকুরসহ যাবতীয় কাজ দেখভাল করে থাকেন। এই সুযোগে আফজাল স্ত্রী সন্তান থাকার পরও মুচির বউয়ের সাথে পরকিয়া শুরু করেন। গত ৬ নভেম্বর রোববার সকালের দিকে চেয়ারম্যানের নির্দেশে সালিশ বিচার বসে। সালিশে আফজালের বউ ভাত খাবেনা বলে ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে যান। এদিকে আফজালের বউ চলে যাওয়ায় তার পর আফজালও মুচির বউকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যান।

শুক্রবারে কামারগাঁ ইউপি এলাকায় এক হোটেলে চা খাওয়া অবস্থায় হাতিশাইল গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ফরহাদ চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে সালিশের নামে প্রহসনে একের পর এক ঘর ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। আফজাল কয়েক মাস আগে মুচির বউয়ের ঘরে প্রবেশ করলে ন্যায় বিচার পেতে থানায় অভিযোগ দেয়। কিন্তু চেয়ারম্যান আফজাল কে বাছাতে ঘটনা ধামাচাপা দেন। ওই সময় যদি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হত তাহলে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হত না। বর্তমান সিদ্ধান্ত আফজাল আর মুচির বউ গ্রামে আসামাত্রই বেধে মারপিট। এমন ঘোষনা জানতে পেরে আফজালের কোন খোজ মিলছে না। এর আগে আফজালের সপ্তম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে উধাও হন ওই গ্রামের নবম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্র। তারা অবশ্য এখন গ্রামে এসে ঘর সংসার করছেন।

আরেক প্রবীন ব্যক্তি জানান, এসব ঘটনার জন্য চেয়ারম্যান কোনভাবেই দায় এড়াতে পারেন না। কারন মুচির স্ত্রী যখন থানায় অভিযোগ দিল তখন যদি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হত তাহলে উভয়ের সংসার টিকে যেত। কারন যত বড়ই মাস্তান হোক জেলে গেলে এমনিতেই শায়েস্তা হয়ে যেত। চেয়ারম্যান কেন এসব কাজে জড়িত হবে। যখন চেয়ারম্যান ছিল না তখনও তিনি এসব করতেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পরও যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে কি বলার আছে। কথায় আছে কয়লা ধুলে যায় না ময়লা।

গত ৬ নভেম্বর রোববার বিকেলে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়ারম্যান ফরহাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সালিশ বিচারের কথা অস্বীকার করে বলেন, আফজালের শ্বশুর বাড়ির লোকজন এসে তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে গেছে বলে দায় সারেন।

 

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *