বাঘা পৌরসভা নির্বাচন: নির্বাচন কমিশনে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ মনিটরিং এর দাবিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আবেদন

রাজশাহী

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা পৌরসভা নির্বাচনের সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ মনিটরিং জোরদার করার দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দপ্তরে আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আক্কাছ আলী। বৃহস্পতিবার(২২-১২-২২) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দপ্তরে আক্কাছ আলীর পক্ষে তার সমর্থিত লোকজন এই আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন।

ভোটের দিন সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা থাকায় সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার মনিটরিং এর দাবি করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আক্কাছ আলী। যাতে করে ঢাকায় বসেই নির্বাচন কমিশন ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাঘা পৌরসভার ভোটে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, কর্মীদের মারধরসহ হুমকি দিচ্ছে। ‘এলাকার ভোটাররা সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছে। ভোটের দিনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত ও ভীত।’

আবেদন পত্র জমা দিতে যাওয়া সাবেক ছাত্র নেতা মুক্তার আলী,সেলিম ও ওমর আলী জানান, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব , ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিরপেক্ষতার প্রশ্নে কোন ধরনের আতংকিত না হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বিষয়টি বাঘা পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার আবুল হোসেনকে তাৎক্ষণিক ফোন দিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান তারা।

আ’লীগ দলীয় প্রার্থী শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন,আমিও শান্তি,শৃঙ্খলায় সুষ্ঠ নির্বাচন আশা করছি। তবে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর আনিত অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন শাহিনুর রহমান পিন্টু।

বাঘা পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার আবুল হোসেন জানান,আবেদনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিরপেক্ষতার বিষয় নিয়ে প্রায় দিনই নির্বাচনী এলাকায় মনিটরিং করা হচ্ছে। তিনি বলেন,অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শ্রেণী পেশার সকলকে সহযোগিতা করার জন্য বলা হয়েছে।

বাঘা পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন ৫ প্রার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন- উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু(নৌকা), জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী (জগ), পৌর জামায়াতের আমির প্রভাষক সাইফুল ইসলাম(নারিকেল গাছ), পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন(কম্পিউটার) এবং ইসরাফিল বিশ্বাস (মোবাইল ফোন)।

সংরক্ষিত-১ ওয়ার্ডে (১,২,৩)৩জন, ওয়ার্ড নম্বর-২(৪,৫,৬)৫জন, ওয়ার্ড নম্বর-৩(৭,৮,৯)৫জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে- ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন ,২ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন, ৩নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন,৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫জন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৫জন, ৬ নম্বর ওয়াডের্ ৪জন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২জন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৩জন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মুজিবুল আলম বলেন, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১১ টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে । পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৬৯। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৮১২ এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৮৭৭।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *