স্বদেশ বাণী ডেস্ক: রাজধানীর গুলশানে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। অস্ত্রের মুখে তারা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। সেদিন ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা।
এর মধ্যে সাতজন ছিলেন জাপানি নাগরিক। তারা মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে কাজ করতেন এই জাপানিরা। এবার তাদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ।
মেট্রোরেল সম্পর্কে জনসাধারণকে ধারণা দিতে এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা ডিপো এলাকায় মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেন্টারেই স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করা হয় বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
যেদিন এই সাত জাপানিকে হত্যা করা হয়, সেদিন তারা হলি আর্টিসানে খেতে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন দুজন নারী। তারা মেট্রোরেলের সমীক্ষার পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার যানজট ব্যবস্থাপনা নিয়েও গবেষণা করছিলেন।
সেই অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা হলেন তানাকা হিরোশি, ওগাসাওয়ারা, শাকাই ইউকু, কুরুসাকি নুবুহিরি, ওকামুরা মাকাতো, শিমুধুইরা রুই ও হাশিমাতো হিদেইকো। এই প্রকৌশলীরা আর বেঁচে নেই। কিন্তু তাদের পরিশ্রমের মেট্রোরেল এখন বাস্তবতা।
২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন হচ্ছে ঢাকার মেট্রোরেল। প্রথম দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার অংশ খুলে দেওয়া হবে।
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। অনুমোদিত ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। তবে মতিঝিল ছাড়িয়ে মেট্রোরেলের রুট কমলাপুর পর্যন্ত নেওয়ায় প্রকল্পের কাজ বেড়েছে। এ জন্য পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আরও প্রায় এক বছর বেশি সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে মেট্রোরেল প্রকল্পটি শেষ করতে সময় লাগবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর খরচ হবে আরও ১১ হাজার কোটি টাকা। ডিপিপির দ্বিতীয় সংশোধন প্রস্তাবে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
স্ব.বা/রু