মান্দায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

রাজশাহী

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় শামিমা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার রাত ৯ টার উপজেলার মৈমন ইউনিয়নের মৈনম সরকারপাড়া গ্রাম থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শামিমা খাতুন মৈনম সরকারপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী দূর্গাপুর গ্রামের আসমত আলীর মেয়ে বলে জানা গেছে।

নিহতের মামা উজ্জ্বল হোসেন জানান, প্রায় ১৬/১৭ বছর আগে মৈমন সরকারপাড়া গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে আব্দুল মালেকের সঙ্গে দূর্গাপুর গ্রামের আসমত আলীর মেয়ে শামিমা খাতুনের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে দু,টো নাবালক মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে মিম(১৪) মৈনম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং ছোট মেয়ে জিমের বয়স মাত্র ২ বছর। বিয়ের পর থেকে দুঃচরিত্র জামাইয়ের কারণে তাদের পরিবারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া- বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই জের ধরে নিহত শামিমাকে বিভিন্ন সময় কারণে-অকারণে শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন করা হতো। এসব নির্যাতন সইতে না পেরে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি তাদের বোধগম্য নয়। কারণ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার মত কোন আলামত ছিলো না তার শরীরে। যদি তাই হয়,তবে নিহতের স্বামী আব্দুল মালেক ওই ঘটনার পর থেকে পলাতক কেনো? এতে করে বিষয়টি তাদের কাছে সন্দিহান মনে হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

নিহতের জা মুসলিমা বলেন, গতকাল বিকেলে নিহত শামিমা আর ওর ছোট মেয়ে ছাড়া বাড়ির সকলে বাহিরে ছিলেন। এরপর তিনি বাড়ি এসে দেখেন যে,তার জা শয়ন ঘরে তালার তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। এরপর সে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তাকে মাটিতে নামানো হয়। এরপর ঘটনাস্থলেই সে মৃত্যু বরণ করেন।

শামিমা খাতুনের বাবা আসমত আলী বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা জামাই বাড়ি এসে মেয়েকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তবে কী কারণে মেয়ে শামিমার মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।’

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নববধূ শামিমার লাশ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *