বাঘায় শালিস বৈঠকে জমি জমা নিয়ে সংঘর্ষে ৪ নারিসহ আহত-১২

রাজশাহী

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় জমি জমা নিয়ে শালিস বৈঠকে সংঘর্ষে ৪ নারিসহ অন্তত ১২জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ২নারিসহ ৪জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।শনিবার(২৬-৮-২০২৩) সকাল ১১ টায় উপজেলার পীরগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়,শনিবার সকালে পৈত্রিক জমি জমার হিসেবে নিয়ে শালিস বেঠক অনুষ্ঠিত হয়। কাগজপত্র দেখাকালিন সময়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ মকছেদ আলী (পিতা মৃত সেরফান) ও তার ছেলেরা দেশীয় তৈরি ফালা,হাসুয়া ও বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে অপর পক্ষকে মারপিট করে। এতে আহত হন,মুনসুর রহমান(৫৫), রুজদার আলী(৫২), ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগম(৬০) রাসেল (২৮), ফাতেমা বেগম, রাশিদুল ইসলাম(২৯), পারুল বেগম(৩০),আব্দুর রাজ্জাক(৩০), বাপ্পি রহমান(২৪), আখি খাতুন(২৫) বজলুর রহমান(৪৫) একরামুল হক(৩৫)। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

সেখানকার চিকিৎসক ডাঃ মল্লিকা সরকার জানান, গুরুতর আহত মুনসুর রহমান, আফরোজা বেগম, রাসেল আহমেদ ও ফাতেমা বেগমকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বজলুর রহমান ও একরামুল হককে সরাসারি রামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

শালিসে উপস্থিত স্থানীয় মেম্বর আব্দুর রহমান জানান,ওই গ্রামের মৃত সেরফান আলী ও এরফান আলী প্রায় ৩০ বিঘা জমি রেখে মারা যায়। সেরফান আলীর সেই সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারার আগে তার দুই ছেলে ইন্তাজ আলী ও মুনতাজ আলী মারা যায়। সেরফান আলীর জীবিত অপর ছেলে মকছেদ আলীর কাছ থেকে জমির হিসেব বুঝে নিতে চান ইন্তাজ আলী, মুনতাজ আলী ও এরফান আলীর ছেলে-মেয়েরা। ৪ বার শালিস বসেও সমাধান করতে না পেরে সর্বশেষ শনিবার সকালের দিকে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয়ের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক বসে। এসময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মকছেদ আলী ও তার ছেলেরা হামলা করে। এতে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তাদের থামিয়ে দিয়ে শালিস স্থগিত রেখে লোকজন চলে যায়। পরে উভয় পক্ষ দেশীয় তৈরি ফালা,হাসুয়া ও বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

রুজদার আলী জানান,পুরো সম্পত্তি বঝে না দিয়ে দখলে রেখে ভোগ করছেন তার চাচা মকছেদ আলী। সম্পত্তি বুঝে নেওয়ার জন্য শালিস ডাকলে তাদের উপর হামলা চালায়। মকছেদ আলী জানান,ভাই জীবিত থাকাকালিন সময়ে সম্পতি বুঝে নিয়েছে। এর পরেও পাবে বলে দাবি করে। তবে বাটোয়াটারা দলিল হয়নি বলে জানান তিনি।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *