তাড়াশে  প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে  কলেজ ছাত্রীর অনশন

রাজশাহী
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে এক প্রেমিকা। তার দাবি বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেও বিয়ে না করার কথা বলেছে প্রেমিক মো : রুমান শেখ  নামক যুবক। এখন রুমান শেখ বিয়ে না করলে তার মরা ছাড়া গতি নেই। তাই প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে কলেজছাত্রী।
অভিযুক্ত রুমান শেখ জেলার  তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের  কামাড়শোন গ্রামের মুনছুর শেখের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কামাড়শোন গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছে কলেজ ছাত্রী প্রেমিকা। জানতে চাইলে অবস্থান নেওয়া কলেজ ছাত্রী বলেন, প্রায় এক বছর আগে সম্পর্ক হয় রুমান শেখের সাথে। এর জের ধরে আমরা এক সঙ্গে নানান জায়গায় ঘোরাফেরা করেছি এবং  রুমানের বন্ধুর বাড়িতেও নিয়ে গেছে আমাকে। সেখানে নিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে  রুমার শেখ। এরপর বিয়ের কথা বললেই সে তালবাহানা শুরু করে। আমি বাধ্য হয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর থেকে তার বাড়িতে এসে আমরণ অনশন করছি।
কলেজ ছাত্রী আরও বলেন, আমি এখানে অনশন করার পর থেকেই আমাকে বিয়ে করবে না মর্মে জানিয়ে দিয়েছে রুমান।
এছাড়াও আসার পর থেকে রুমান, তার বাবা-মা ও তার পরিবারের লোক জন আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি তাদের পায়ে ধরে কোনোরকমে এখানে থাকতে পেরেছি। যেহেতু রুমান শেখের সঙ্গে আমার একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়ে গেছে তাই রুমান শেখকে বিয়ে করা ছাড়া আমার উপায় নেই। তাকে বিয়ে না করলে আমাকে মরতে হবে এখানে।
এদিকে শারীরিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে প্রেমিক রুমান শেখ বলেন, তার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল এটা সত্য, কিন্তু অন্যান্য আরও ছেলের সাথে তার সম্পর্ক আছে। আমি এই মেয়েকে কোনোভাবেই বিয়ে করতে পারব না।
রুমানের বাবা মুনছুর শেখ বলেন, রুমান বলেছে এই মেয়ে ভালো না। আমরা জেনে শুনে কোনো ভাবেই এই মেয়ের সাথে আমার ছেলেকে বিয়ে দিতে পারি না।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি ফোনের মাধ্যমে জেনেছি। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বিষয়টি অনুসন্ধান করার পরে  অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *