বাগাতিপাড়া নাটোর প্রাতনিধিঃ নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক নিয়োগে তালবাহানার অভিযোগ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওসমান গনির বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের জিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক নিয়োগের জন্য অর্থের বিনিময়ে গোপনে প্রার্থী মনোনিত করে রাখেন ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সভাপতি উসমান গণির বিরুদ্ধে। এবং তার মনোনিত সেই প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে না পারাই নিয়োগ পরিক্ষা নিয়ে তালবাহানার শুরু করেন।
গত রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) এমন অভিযোগ করেন নিয়োগ পরিক্ষায় অংশ নিতে আসা পরিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টম্বর ২০১৯ সালে পত্রিকায় মাধ্যমে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে ১৫শ টাকার অফেরৎ যোগ্য পে-অর্ডার সহ আবেদন করেন মোট ১৪ জন প্রার্থী। যাচাই বাছাই এর পরে লিখিত পরিক্ষায় অংশনিতে ১৪ জন প্রার্থীকে প্রবেশ পত্র প্রদান করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু পরিক্ষায় অংশ নিতে এসে বিপাকে পড়েন প্রার্থীরা। ইতি পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অদৃশ্য কারনে দুই-দুইবার পরিক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী রবিার দুপুর ২ টায় তৃতীয় বারের মতো নিয়োগ পরিক্ষার দিন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। দিন তারিখ সময় নির্ধারণ হলেও আবারও প্রার্থীরা পরিক্ষায় অংশ নিতে এসে দুপুর দুইটা থেকে বিকেল অবধি অপেক্ষা করেও পরিক্ষায় অংশ নিতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যান তারা।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আশা মুক্তার হোসেন হতাশা নিয়ে দৈনিক আমার সংবাদ, বিডিনিউজ ডট গ্লোবাল ও স্বদেশ বাণী ডটকম কে বলেন, অফিস সহায়ক পদে তাকে নিয়োগ দিবেন মর্মে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উসমান গনি দুই বছর আগে তার কাছ থেকে সাত (৭) লক্ষ টাকা গ্রহন করেন। কিন্তু তাকে নিয়োগ দানে ব্যার্থ হন। এমতাবস্থায় তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে টাকা দিতে গড়িমসি করে আসছেন। আজকে (১৬ ফেব্রুয়ারী) আবারও পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বলেন কিন্তু সেই দুপুর থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে হতাশ হয়ে ফিরে যা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহাদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও এক জন্য সদস্য উপস্থিত না হওয়ায় নিধার্রিত দিনে পরীক্ষা গ্রহন সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ পরিক্ষার সদস্য সচিব লোকমান হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিস সহায়ক পদে লোক নিয়োগের পরীক্ষার দিন নির্ধারন করা হলেও বিভিন্ন কারনে ইতিপূর্বে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। আবারও রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) পরিক্ষা গ্রহনের কথা থাকলেও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওসমান গণি এবং সদস্য সাইফুল ইসলাম অনুপস্থিত থাকায় বিকেল অবধি পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। এছাড়া সভাপতির সাথে একাধিকবার মোঠোফোনে যোগাযোগ করে না পাওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
ভুক্তভোগী আর এক প্রার্থী উপজেলার ক্ষিদ্র মালঞ্চী গ্রামের আব্দুর রহীম আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ইতি পূর্বেও নিয়োগ পরিক্ষায় অংশ নিতে তিনি এসেছিলেন কিন্তু সভাপতি উসমান গণী গোপনে একাধীক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা গ্রহন করেছেন বলে তিনি জেনেছেন। এবং তার মনোনিত প্রার্থীকে নিয়োগ দানে ব্যার্থ হওয়াই নিয়োগ পরিক্ষা নিয়ে তিনি বারবার বিভিন্ন তালবাহানা করছেন। এবিষয়ে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, সরকারী বিধি মোতাবেক যেন নিয়োগ সম্পন্ন করা হয় সেব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্ব.বা/শা
