পুলিশের মানবতায় বাঘায় এতিম ও সেলুন কারিগরা পেল খাদ্যসামগ্রী ও অর্থ

রাজশাহী

বাঘা প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের কারণে দৈনিক রোজগার প্রায় বন্ধের পথে নিম্ন আয়ের মানুষের। এই দুর্যোগ মুহূর্তে সরকারি সেবার পাশাপাশি মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। তাদের দেওয়া খাদ্যসহায়তা ও নগদ টাকা পেল কর্মহীন সেলুন কারিগর এবং সরেরহাট এতিমখানা । রোববার (২৬ এপ্রিল) বিভিন্ন এলাকার নিম্ন আয়ের সেলুন কারিগর ও এতিমখানায় খাদ্যসহায়তার চাল ও নগদ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন বাঘা থানা পুলিশ । খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, আড়াই কেজি ডাল ও নগদ অর্থ।

বাঘা থানা চত্বরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নারী-পুরুষদের হাতে সেগুলো তুলে দেয়া হয়। এর আগে ১ এপ্রিল রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম এর নির্দশনায় ও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রাজশাহীর বাঘায় একশত দরিদ্র পরিবারের প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল ও হাত ধৌত করার সাবান বিতরণ করেছে বাঘা বাঘা থানা পুলিশ। থানার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কর্মহীন দরিদ্রজনগোষ্ঠির মাঝে এগুলো বিতরণ করা হয়েছে।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ও পুলিশ সদস্যরা নিজেদের বেতনের টাকা থেকে নেয়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই সেবা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, মাঠে কাজ করার সময় আমরা বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। সারা বিশ্বের সা¤প্রতিক এই বিভীষিকা নভেল করোনার (কোভিড-১৯) এই দুর্যোগ মুহূর্তে নিম্ন আয়ের মানুষ মানবেতর ভাবে দিন কাটাচ্ছে। এসব কারণে জনগণেকে সেবা দিতে সাধ্যমত চেষ্টা করছে পুলিশ। সবকিছু বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের রোজগার নেই বললেই চলে। তাই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

ওসি বলেন,করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ একক কোনো যুদ্ধ নয়, এটা সবার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জয়ী হতে হলে আমাদের সবাইকে যার যার জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। এজন্য সমাজের বিত্তবানদের এসব নিম্ন আয়ের মানুষদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহŸান জানান অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম।

২০০ কেজি চাল দেওয়া হয় গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট শিশু কল্যাণী সদনের পরিচালক সামসুদ্দিন সরকার সমেস ডাক্তার হাতে। তিনি বললেন, ‘করোনা আইসা জিনিসপত্রের দামও বেড়ে গেছে। এখন এতিমদের নিয়ে পড়েছেন সংকটে। এসময়ে সহযোগিতা পেয়ে কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ হলাম।’ উপজেলা সেলুন সমিতির সভাপতি বাচ্চু মিঞা, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক মানুষ রয়েছেন যাদের দিন শেষে দু’মুঠো খাবারের নিশ্চয়তা নেই। বাঘা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে চাল, ডাল এবং নগদ অর্থ পেয়ে অত্যান্ত খুশি হয়েছি।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *