স্বদেশ বাণী ডেস্ক: বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২০ উপলক্ষে গতকাল রোববার রাজশাহীর রুরাল এ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (রুডো) ও এলায়েন্স ফর এফসিটিসি ইমপ্লিমেন্টেশন বাংলাদেশ (এএফআইবি) যৌথ ভাবে অনলাইন ক্যাম্পোইন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাতের মতে, পর্যায়ক্রমে সিগারেটের করস্তরকে বিলুপ্ত করে সকল সিগারেটের জন্য একটি সরল ও কার্যকর একস্থর করব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে।
পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হকের দেয়া তথ্যমতে, তামাকের মূল্য ১০শতাংশ বৃদ্ধি করস্রেনির নিন্ম শ্রেণীর ভোক্তাদের ব্যবহারের হার ৫শতাংশ হ্রাস পায়। এ লক্ষ্যে এলায়েন্স ফর এফসিটিসি ইমপ্লিমেন্টেশন বাংলাদেশ (এএফআইবি) প্রতি বছরের ন্যায় নিন্ম শ্রেণীর তামাকসেবীর (মোট ধূমপায়ীর ৭২ শংতাংশের অধিক) জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে আসন্ন বাজেটে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সিগারেটের প্রতি ১০ শলাকার সর্বনিন্ম মূল্য ৪৭ টাকা নির্ধারণ এবং সিগারেটের করকাঠামোর ৪ স্তরকে কমিয়ে ৩ স্তরে আনা, তামাকের উপর উচ্চহারে করারোপ এবং ৫শতাংশ স্পেসিফিক ট্যাক্স আরোপের জোরালো দাবী জানায়।
এলায়েন্স ফর এফসিটিসি ইমপ্লিমেন্টেশন বাংলাদেশ (এএফআইবি) রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক ও রুরাল এ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (রুডো)’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ সোহাগ আলী বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীতে পুরো দেশ গৃহবন্ধী থাকাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে মৃত্যু বিপননকারী তামাক কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের কতিপয় কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়) কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজোশে কমদামী সিগারেটের জন্য চলমান সর্বনিন্ম স্তরের (প্রতি ১০ শলাকার সর্বনিন্ম মূল্য ৩৭টাকা) নিচেও আরো একটি নতুন স্তর চালুর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যেখানে সরকার তামাকের ব্যবহার কমাতে প্রতিবছর সিগারেটের সর্বনিন্ম মূল্য বৃদ্ধি করে চলছে সেখানে নতুন আরো একটি স্তর চালুকরণ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক হুমকি। এ ধরণের জনস্বাস্থ্যবিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শক্তিশালীভাবে ব্যাহত হবে।
স্ব.বা/বা