রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই করোনা রোগীর মৃত্যু

রাজশাহী

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্তে নওগাঁর দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৪টার ও সকাল ৮টার দিকে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর মধ্যে একজনের করোনা পজিটিভ ও অন্যজনের উপসর্গ ছিল।

নিহতের পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রের বরাদ দিয়ে মান্দা প্রতিবেদক জানান, নওগাঁর মান্দায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি (৭২) মারা গেছেন। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গত বুধবার দুপুরে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তার নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এখন পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি প্রসাদপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকের পেশায় কর্মরত ছিলেন। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনি নিয়মিত অফিস করেছেন। এ সময় গলা ব্যথা, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাসের অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। এদিন বাসায় ফেরার পর অবস্থার অবনতি হতে থাকলে বুধবার দুপুরে তাকে নেয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মারা যান তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ মশিউর রহমান জানান, মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনির মৃত্যুর বিষয়টি অবহিত হয়েছি। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এখন পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এরপরও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।

এর আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি মারা যান।

তার নাম আবদুল কুদ্দুস শাহ চৌধুরী (৬০)। তার বাড়ি নওগাঁর সাপাহার উপজেলায়। মৃতের নাতি আবু সাঈদ চৌধুরী অনিক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত বুধবার তার নানার নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

অনিক বলেন, কয়েকদিন আগে তার নানা বাথরুমে পড়ে যান। এরপর তাকে রাজশাহীর বেসরকারি সিডিএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট থাকায় সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা পজিটিভ আসে। এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ থাকায় আবদুল কুদ্দুস শাহ চৌধুরী এবং ওসমান গণির মৃত্যুর বিষয়টি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে জানানো হয়। তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশ দাফনের জন্য নিয়ে গেছেন। পারিবারিক কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন হবে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *