সমস্যায় জর্জরিত রাজাবাড়িহাট যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: একটি গরু দিয়েই চলছে প্রশিক্ষণ

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর রাজাবাড়িহাট যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রতিবছর ২শ জনকে গবাদি পশু হাঁস- মুরগী পালন, মৎস্য চাষ ও কৃষি বিষয়ক আবাসিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তবে প্রশিক্ষণার্থীদের ইচ্ছে থাকলেও বিষয়ভিত্তিক ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করতে পারছেন না।

একটিমাত্র গরু দিয়েই চলছে এখানকার প্রশিক্ষণ। নেই কোন হাঁস-মুরগী। এমনকি নেই মৎস্য চাষের প্রশিক্ষণের জন্য মাছও।

সরেজমিনে রাজাবাড়িহাট যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, চত্বরের ভেতরে বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত বিল্ডিং রয়েছে। পাশেই রয়েছে গরুর খামার কিন্তু কোন গরু নেই । ছোট একটি গরু রাখা আছে পাশের গাছে বাঁধা। সেটিও দেখেই বোঝা যায় সুস্থ নয়। পাশেই পড়ে আছে তার চিকিৎসার ওষুধের প্যাকেট। এর কিছুদুরে অবস্থিত মুরগীর খামারও বন্ধ। নেই কোন হাঁস বা মুরগী। খামারের অনেকাংশই ভাঙ্গা। দেখেই বোঝা যায়, এগুলো অনেকদিন ব্যবহার হয় না।

রাজাবাড়িহাট যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য মতে, প্রতি বছর প্রায় ২’শ যুবক এখান থেকে প্রশিক্ষণ পায়। বর্তমানে এ কেন্দ্রে ৩ মাস মেয়াদী কোর্সে ৬০ জন যুবক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

গরু পালন এর প্রশিক্ষনের ব্যবহারিকের জন্য রয়েছে একটি মাত্র গরু। এছাড়া কর্তৃপক্ষ মাছ চাষের কথা বললেও কেন্দ্রের ভেতরে থাকা একটি পুকুর এখন শ্যাওলায় ভরপুর। কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য যে জমি দেয়া হয়েছে সেখানটা দেখলে ঝোপঝাড়ে ভরা ছোটখাটো জঙ্গল মনে হবে। কেন্দ্রটির হাঁস-মুরগি পালনের শেডে হাঁসের কোনো দেখা মেলেনি। রয়েছে লোকবল সংকট। নেই নাইটগার্ড, রয়েছে নিরাপত্তা সংকট।

এখানে প্রশিক্ষণ নিতে আসা রাজশাহীর বাগমারা এলাকার রুহুল আমিন বলেন, এখানে যে গরুটি রয়েছে সেটি অসুস্থ ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এ জন্য প্রায়ই আমাদের প্রশিক্ষণে সমস্যা হয়। এখানে অন্যান্য পশুগুলো নেই। এগুলো হলে আমরা হাতে কলমে অনেক শিক্ষা পেতে পারতাম। এগুলো থাকা দরকার। তাহলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে।

মোহনপুর থেকে এসেছেন হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, প্রশিক্ষনের জন্য ৫/৬ জন মিলে একটি জমি পাই। এতে কোন ভাবেই আমাদের হাতে কলমে শিক্ষা লাভ হচ্ছে না। এছাড়াও রয়েছে নিরাপত্তা সংকট। এগুলো কাটিয়ে উঠতে না পরলে আমাদের এখানে প্রশিক্ষন নিয়ে কোন লাভ হবে না। শুধু নাম মাত্রই এটিতে অংশ গ্রহণ করা হবে।

রাজাবাড়ি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর রেজাউল ইসলাম বলেন, আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। এছাড়া আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আমাদের যদি না দেয় তাহলে আমরা কোন কিছুই কিনতে পারি না। এখানে ডেইরি খামার আছে। সেখানেই প্রশিক্ষনার্থীদের প্রশিক্ষন দেয়া হয়। এছাড়া একটি গরু রাখা আছে। হাঁস মুরগী প্রশিক্ষণ শুরু হলে এটি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে কিনে দেয়া হবে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক মতিউর রহমান বলেন, এবিষয়ে তিনি দেখভাল করেন না। এটি সেখানকার কো অর্ডিনেটর, ডেপুটি কো অর্ডিনেটরই ভালো বলতে পারবেন। সূত্র: সাহেব-বাজার।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *