স্টাফ রিপোর্টার: মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির জীবনে এক আনন্দের দিন। এমনি এক দিনের প্রতীক্ষায় কেটেছে বাঙালির হাজারো বছর। বহু কাঙক্ষিত সেই দিনটির দেখা মিলে ছিল ইতিহাসের পাতায় রক্তিম অক্ষরে লেখা এক সংগ্রামের শেষে ১৯৭১ সালে ১৬ ই ডিসেম্বর।
সেই বিজয়ের দিনটি ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ রাজশাহীর উদ্যেগে পালিত হলো এক আড়ম্বর ও জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের ডাইরেক্টর প্রফেসর ডাঃ এস.আর. তরফদার। জাতীয় সংগতি পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনে মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ মোঃ আনোয়ার হাবিব। এর পরেই মহান বিজয় দিবসের সবচেয়ে জাকজমকপূর্ন বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, প্রফেসর ডাঃ চিন্ময় কান্তি দাস প্রফেসর ডাঃ ওবায়দুল্লাহ, প্রফেসর ডাঃ মামুন উর রশীদ, প্রফেসর ডাঃ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, প্রফেসর ডাঃ মোঃ মাহবুবুর করিম সহ প্রমুখ।
মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি প্রফেসর ডাঃ এস. আর. তরফদার বলেন দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভমের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়ের দিনটিতে আনন্দের পাশা পাশি বেদনাও আছে বাঙালীর বুকে। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি স্মরণ করবে জানা-অজানা সেসব শহীদদের।
ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজও শ্রদ্ধার সাথে মহান বিজয় দিবস পালন করছে। এই দিনটি সত্যিই বাঙালি জাতীর জন্য অহংকারের দিন, এই দিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বীর বাঙালির সামনে। তিনি অনুষ্ঠানে সকলকে দেশকে ভালবেসে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস মনের মধ্যে লালন করার আহবান জানান।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে আরো বলেন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস শুনুন, জানুন এবং সে অনুযায়ী আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আকড়ে ধরে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ মোঃ আনোয়ার হাবিব উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান, উপস্থিত সকলকে দেশকে ভালবেসে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ লালন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানা।
কলেজের অধ্যক্ষ উপস্থিত জনতার সামনে বলেন বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া কাজগুলো সম্পন্ন করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। মহান বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
স্ব.বা/শা