স্বদেশ বাণী ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ফল ঘোষণা করা হয় শহীদ মিনারে উঠে। সেসময় স্কুল প্রাঙ্গণের নির্মিত শহীদ মিনারে জুতা পায়ে বার্ষিক পরিক্ষার ফল ঘোষণা করেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরা।
গত ৩০ ডিসেম্বর স্কুলটিতে বার্ষিক পরিক্ষার ফলাফল ঘোষণার সময় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় কেউ একজন জুতা পায়ে শহীদ বেদীতে ওঠার ঐ ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিলে মুহূর্তে তা ছড়িয়ে যায়। এরপর বিষটি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে।
মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক সাবেক সুবেদার মেজর সাইদুর রহমা ও সাধারণ মানুষ জুতা পায়ে শহীদ বেদীতে ওঠা সকলকে শাস্তির মুখোমুখি আনার দাবি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হায়দার মল্লিক বলেন, দেশে অনেক জায়গায় অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে সেগুলো সাংবাদিকরা দেখেন না। শহীদ বেদীতে আমার পায়ে জুতা ছিল না। কতিপয় ব্যক্তি আমার পায়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জুতা বসিয়ে দিয়েছে।
জুতা পায়ে শহীদ বেদীতে ওঠার ঘটনা স্বীকার করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ জানান, এ ঘটনায় শিক্ষক হিসেবে আমি লজ্জিত। জাতির কাছে আমি ক্ষমা চাচ্ছি।
বার্ষিক পরিক্ষার ফলাফল ঘোষণায় শহীদ বেদীতে জুতা পায়ে আরো উঠেছিলেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক খাইরুল ইসলাম, ধর্মীয় শিক্ষক অমিনুল ইসলাম, শিক্ষক শাহ্ আলম ও শিক্ষক জিয়াউর রহমান।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। জুতা পায়ে শহীদ বেদীতে ওঠার ঘটনার যদি প্রমাণ মেলে, তবে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা