ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পদ্মানদী থেকে ভরাট উত্তোলনের অভিযোগ

রাজশাহী
আল-আফতাব খান সুইট নাটোর : পদ্মা নদীর পার থেকে অবৈধভাবে চৌকিদার পাহারা বসিয়ে ভরাট উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে নাটোরের  লালপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ফসলি জমি রক্ষা করতে স্থানীয় জনসাধারণ ইউএনও সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, লালপুরের বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পদ্মানদীর দিয়াড় শংকরপুর ও নওসারা সুলতানপুর এলাকায় ফসলী জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে ভরাট (মাটি যুক্তবালি) উত্তোলন করে বিক্রি করছে। ফলে ফসল নষ্ট হচ্ছে কৃষকের। অপর দিকে বর্ষা মৌসুমে নদীতে ভাঙ্গন হলে মহারাজপুর, ফতেপুর, পানসীপাড়া গ্রাম ভাঙ্গনের আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানায়, বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু তার ক্ষমতা বলে রেজাউল চৌকিদারের নেতৃত্বে শ্যালো চালিত গাড়ী (কুত্তা গাড়ী) দিয়ে প্রতিদিন ভরাট উত্তোলন করছে। তার ক্ষমতার দাপটে আমরা অসহায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসিকে জানিয়েও এই ভরাট উত্তোলনের কাজ বন্ধ হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুত্তা গাড়ীর ড্রাইভার জানায়, তারা নিয়মিত থানায় টাকা দেয়। থানায় টাকা না দিলে তখন পুলিশ আসে।
চৌকিদার রেজাউল বলেন, আমি হুকুমের গোলাম, উনারা যা বলেন আমি তাই করি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন, আমার একার পক্ষে কি ভরাট কাটা সম্ভব? উপর মহলকে ও প্রশাসনকে  মেনেজ করেই ভরাট উত্তোলন করা হচ্ছে ( মোবাইল নম্বর ০১৭১৩৮২৭২০১)।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সেলিম রেজা বলেন, আমি এসব কোন অবৈধ কাজ করিনা জন্যে এখনও লালপুরের পরিবেশ ভালো রাখতে পেরেছি। মিন্টু চেয়ারম্যান নিজে বাঁচার জন্য অন্যের উপর দোষ দিচ্ছেন। তবে মিন্টু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি এব্যাপারে বলেন, ভরাট কেটে থাকলে সেটা অবশ্যই অবৈধ। আমরা অবগত হয়েছি, তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *