আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভুটানের সীমান্তের অভ্যন্তরে চীনের একটি আধুনিক গ্রাম নির্মাণ ও সেখানে চীনা নাগরিকদের স্থায়ীভাবে বসবাস করার দাবি নিয়ে ভারতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। থিম্পুর অন্তত আড়াই কিলোমিটার ভেতরে ওই গ্রামটি বলেও দাবি করা হয়েছে।
চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম সিজিটিএনের সিনিয়র সাংবাদিক শেন শিওয়েই কথিত ওই গ্রামের কয়েকটি ছবি টুইটারে পোস্ট করার পরই এ বিতর্ক সামনে চলে আসে। পরে ওই সাংবাদিক টুইটটি মুছে ফেলেন। যদিও ভুটানের পক্ষ থেকে এই দাবি অস্বীকার করা হয়েছে। তিন দিন আগে টুইটে তিনি লেখেন, ‘নবনির্মিত প্যাংডা গ্রামে এখন আমাদের স্থায়ী বাসিন্দারা থাকছেন।’
‘ইয়াডং কাউন্টি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে যে উপত্যকা, এই গ্রামটি সেখানেই।’ ওই পোস্টে তিনি গ্রামটির লোকেশনের একটি মানচিত্রও সংযুক্ত করে দেন। এ থেকে বোঝা যায় গ্রামটি আসলে ভুটানের সীমানার বেশ ভেতরে।
দিল্লিতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভি নামগিয়েল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাদের দেশের সার্বভৌম সীমানার মধ্যে চীনের কোনও গ্রাম নেই। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরাও অনেকেই বলছেন, যে গ্রামটির ছবি দেখা গেছে সেটি আসলে ভুটানেই।
ভারতে পর্যবেক্ষকরা অনেকেই মনে করছেন, যেহেতু ভুটানের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতির দায়িত্ব ভারতের, তাই এই পোস্টের মাধ্যমে আসলে চীন ভারতকেই একটা বার্তা দিতে চেয়েছে যে তারা ভুটানের ভেতরেও স্থায়ী বসতি তৈরি করতে সক্ষম।
গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, এ বিষয়টি নিয়ে দিল্লি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে এ বিষয়টি নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বেড়েছে।
তিন বছর আগে ভারত-নেপাল-ভুটান, এই তিন দেশের সীমানায় যে ডোকলাম উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনারা বেশ কয়েক মাস ধরে মুখোমুখি অবস্থানে ছিল- কথিত এই প্যাংডা গ্রামটি সেখান থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্যানবেরার একটি থিঙ্কট্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত, স্যাটেলাইট ইমেজারির বিশেষজ্ঞ নাথান রুসার একাধিক উপগ্রহ চিত্র পোস্ট করে দাবি করছেন- এই এলাকাটি শুধু ডোকলামের কাছেই নয়, ভুটানের স্বীকৃত ভূখÐের অন্তত আড়াই কিলোমিটার ভেতরে।
স্ব.বা/বা