বেশিরভাগ কেন্দ্রেই নেই বিএনপির এজেন্ট

সারাদেশ

স্বদেশবাণী ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। সকালে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। অনেক কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিন বহু কেন্দ্রে গিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর এজেন্টদের পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে একজন নিহতও হয়েছেন।

২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের সরকারি ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুলকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের এজেন্টদের দেখা গেলও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের এজেন্টদের দেখা যায়নি।

২২ নম্বর এনায়েতবাজার ওয়ার্ডের এনায়েতবাজার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজকেন্দ্রেও একই অবস্থা দেখা যায়।

কলেজের মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে বিএনপি-সমর্থিত মিষ্টি কুমড়া প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী এমএ মালেক অভিযোগ করেন, কেন্দ্র থেকে তার পুরুষ ও মহিলা এজেন্টদের সবাইকে ‘বের করে দেওয়া হয়েছে’।

একই ধরনের অভিযোগ করেছেন ১৪ নম্বর লালখানবাজার ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল হালিম শাহ আলম।

সকাল ১০টার দিকে বাকলিয়া টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রশাসনিক ভবনকেন্দ্রে ভোট দেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। এর পর তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির   এজেন্টদের মারধর করে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

নিজের কেন্দ্রে এজেন্ট না থাকা প্রসঙ্গে ডা. শাহাদাত বলেন, সব কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।’

ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু নেই দাবি করে তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ আমার জন্য এক রকম, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য অন্যরকম। আমার বাড়ির একাধিক লোক, এমনকি দারোয়ানকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’

ভোট দেওয়া কেন্দ্রের উদাহরণ দিয়ে শাহাদাত বলেন, ‘এ কেন্দ্রে ৬৩৬  ভোট। দুই ঘণ্টা পর আমার ভোটসহ মাত্র ৯টি ভোট পড়েছে।’

ডা. শাহাদাত তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগও তুলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকদের বিরুদ্ধে। তিনি জানান, জামালখানসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে তার ভোটারদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেক জায়গায় হামলা করা হয়েছে। এতে তার ১৫ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।

প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ভোটারদের না আসার জন্য যত ধরনের মেকানিজম আছে, করছে। আমি তো প্রশাসনের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি। প্রশাসন বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীর মতো কাজ করছে।’

চসিক নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭৩৫। এর মধ্যে ৪২৯টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ, যা মোট ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫৬ শতাংশ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *