শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষি শস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়: কৃষিমন্ত্রী

কৃষি লীড

তথ্যবিবরণী :
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষি শস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়। তিনি বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থাকে এগ্রো ইকোলজিক্যাল ভিলেজ ও পাথার অ্যাপ্রোচে ঢেলে সাজাতে হবে। বরেন্দ্র এলাকা দেশে উন্নয়নের একটি মডেল।

কৃষিমন্ত্রী আজ রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বরেন্দ্র অঞ্চলে এসডিজি অর্জনে বিএমডি’র উদ্যোগে ২য় বরেন্দ্র এগ্রো-ইকো ইনোভেশন রিসার্চ প্লাটফর্ম কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, এডভোকেট আবিদা আঞ্জুম মিতা, ড. মনসুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সাত্তার মন্ডল আলোচক ও কৃষিবিদ ড. হামিদুর রহমান ছিলেন। অন্যান্যোর মধ্যে ইসরাইল হোসাইন, মো. শাজাহান কবির, ড. আবুল কালাম আজাদ ও ড. রুস্তম আলী বিভাগীয় কমিশনার মো: নূর উর রহমান, জেলা প্রশাসক হামিদুর হকসহ কৃষি দপ্তরের কর্তকর্তাগণ বক্তৃতা করেন। বিএমডি’র চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের ১৯টি অঙ্গীকারের মধ্যে কৃষিকে আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণ পদ্ধতিকে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। গ্রামের ৬০-৭০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের সাথে জড়িত। তাদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে সরকার ইতোমধ্যে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি আবিস্কারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি ধরে রাখার স্থায়ী সমাধান বের করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, চাষীরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী খুবই উদ্বিগ্ন। খুব শিগগিরই এর একটি স্থাায়ী সমাধান খুঁজে বের করা হবে। মন্ত্রী বলেন, বরেন্দ্রের সাথে যারা কাজ করে তাঁরা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ এক সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। সেই বাংলাদেশ ১৫ সালেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। উত্তরাঞ্চল এক সময় মংগা অঞ্চলে পরিচিত ছিলো । এই সরকারের আমলে এটি দুর হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষককে আর সারের জন্য মারামারি করতে হয় না। বিদ্যুতের জন্য মানুষের কোন ভাবনা নেই। প্রতিটি গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে যে অভুতপূর্ব উন্নয়ন অর্জন তা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।

সেমিনারে কী-নোট ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, রাবি’র প্রভিসি ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান, রাবিন্দের নির্বাহী পরিচালক ড. আসাদুজ্জামান,উপসচিব ড. মো: রাজ্জাকুল ইসলাম ও ড. জাহাঙ্গীর হোসাইন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *