তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার হরিদেবপুর গ্রামের রাস্তার ধারের বিশাল আকারের মেহগনি ও বোরের তরতাজা গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালের দিকে ঘটে গাছ কাটার ঘটনাটি। এতে করে একজনের দেখা দেখি অন্যরাও রাস্তার ধারের গাছ কাটা শুরু করবে বলে অভিমত অনেকের। ফলে গাছ কর্তন কারী ও নির্দেশ দাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেছেন স্হানীয়রা। কারন গাছ লাগালেও কাটার সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুমতি নিতে হবে মর্মে আইন পাশ হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদাসিনতার কারনে বাস্তবায়ন না থাকায় উজাড় হয়ে পড়ছে গাছ। পরিবেশেরও বিপর্যয় ঘটছে।
সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে দেখা যায়, পৌর এলাকার হরিদেবপুর গ্রামে প্রবেশের রাস্তার ধারে থাকা বিশাল মেহগনি গাছ কাটছেন কয়েক জন শ্রমিক। মোড়ের উপরেই প্রবেশের রাস্তার পশ্চিমে সিরাজুল ইসলামের টিনের বাড়ি। তিনিও শ্রমিকদের সাথে গাছ কাটছেন। সকাল থেকেই শুরু হয় গাছের ডালপালা কাটা। দুটি গাছের ডালপালা কাটে সাবাড় করে ফেলা হয়েছে।
সিরাজ জানান, রাস্তার ধারের গাছ হলেও আমার জায়গায়। শিক্ষক খাইরুল ইসলাম ও মেয়র ইমরুলের নির্দেশে কাটা হচ্ছে। এই রাস্তা সরকারি না। আমার জায়গার গাছ কাটছি। তার সাথে কথা বলতে কয়েক জন বখাটে এসে বলা শুরু করেন নিজের জায়গার গাছ কাটার জন্য কেন অনুমতি লাগবে মেয়র জানে এটাই যথেষ্ট। একটু পরেই আসেন শিক্ষক খাইরুল ইসলাম তিনিও বলেন সিরাজের জায়গা। আপনি নাকি গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমি কেন অনুমতি দিব, সিরাজ বলেছে একথা শোনার পর রাগান্বিত হয়ে সিরাজকে ধমক দেন শিক্ষক । সিরাজও চুপ হয়ে পড়ে।
স্হানীয়রা জানান, মেহগনি গাছটা বিশাল আকারের একেবারেই তরতাজা এবং দামি। গাছটির বয়সও অনেক। বোরই গাছটি কম বয়সের। দুই গাছ কাটার কারনে ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। মেহগনি গাছের নিম্মে হলেও ৩৫/৪০ হাজার টাকা দাম হতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
সরকার আইন পাশ করলো গাছ রোপন করা গেলেও কাটার সময় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি লাগবে। কিন্তু আইনের ফাইল বন্ধি হয়ে পড়ে আছে। যেভাবে বন জঙ্গল গাছ পালা উজাড় হচ্ছে তাতে করে চরম ভাবে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। আর এসব এলাকা খরা প্রবন। দ্রুত আইনের প্রয়োগ না হলে হারিয়ে যাবে স্মৃতি বিজড়িত গাছগুলো। হরিদেবপুর মোড়ের মানান ছিল মেহগনি গাছ টি। রাস্তার ধারের গাছ, সিরাজুলের জায়গায় পড়লে তার হয়ে যাবে। আর এভাবেই গাছ গিলবে। গ্রামের রাস্তা তো জমার হয়। যদি রাস্তা সরকারের না হবে তাহলে পাকা কিভাবে হল। রাস্তা সরকারের গাছ উনাদের এইতো অবস্থা।
মেয়র ইমরুল হকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান হরিদেবপুর গ্রামের রাস্তাটি সরকারের না, নকশাতেও নাই। এটি জমার জায়গা। আর সিরাজুলের জায়গার উপর গাছটি তিনিই লাগিয়েছিলেন, তার গাছ এটি। সরকারের না বলেও জানান তিনি।
সহকারী কমিশনার ভুমি সুস্মিতা রায় বলেন ঘটনা অজানা, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।