চৌবাড়িয়া রাস্তার আরসিসি ঢালায়ে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ 

রাজশাহী লীড

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী ঐতিহ্য বাহী চৌবাড়িয়া হাটের আরসিসি রাস্তার ঢালায়ের কাজে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত্রি পর্যন্ত এবং মঙ্গলবার সকালের দিকে টিপির টিপির বৃষ্টির মধ্যেই ঢালায়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে রাস্তাটি টিকসই নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। সেই সাথে কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে দেদারসে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার। এতে করে ব্যবসায়ী মহলেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কারন আরসিসি রাস্তা একবার হলে ৩০/৪০ বছর হাত পড়েনা।

সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে দেখা যায়, চৌবাড়িয়া ব্রীজ ঘাট থেকে কড়ইতলা পর্যন্ত ২৬৫ মিটার রাস্তা আরসিসি ঢালায়ে নির্মাণ কাজ হচ্ছে।
সেখানে ছিলেন মান্দা উপজেলা এলজিইডি অফিসের কার্যসহকারী আজাদ তার কাছে কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি কিছুই জানিনা। আমাকে থাকতে বলেছেন এজন্য আছি। হেড মিস্ত্রি সব বলতে পারবেন। কাজটি কে করছেন জানতে চাইলে তিনি জানান সোহেল নামের এক ঠিকাদার। এর বেশি জানিনা। তার সাথে কথা বলতেই আসেন ঠিকাদারের এক লোক তিনি জানান আমার ভাই সাংবাদিক সব কাজ নিয়ম অনুযায়ী হচ্ছে ১০০% কাজ করা হচ্ছে। কোন অনিয়ম দুর্নীতি নাই। সিডিউল দেখতে চাইলে তিনি জানান সিডিউল কি হবে আমি দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছি।একবার বলে দিলে হয়ে যায়।

স্হানীয়রা জানান, হাটু পানি কাদার মধ্যে বালু দিয়ে ভরাট করেছেন। আর ঢালায় কত ভালো হবে বুঝতে হবে। দশ মিলি রোডের জায়গায় আট মিলি রোড দেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সিমেন্ট সামান্য দিলেও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে বেশি পরিমান। কোন কর্মকর্তা নেই ইচ্ছে মত চলছে কাজ। তাহলে কি হবে বুঝে নিতে হবে।

কাজের দায়িত্বে থাকা মান্দা এলজিইডির এসও রায়হান জানান, শতভাগ কাজ হচ্ছে কোন অনিয়ম নাই। পানি কাদার মধ্যে বালু দিয়ে ভরাট করা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান কাঁদা পানি থাকলে তো কাজ বন্ধ থাকবে না। আরো জানান, ভারশো ইউপি থেকে চৌবাড়িয়া হাটের কড়ইতলা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ৯৫০ মিটার রাস্তা নির্মাণের বিপরীতে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর আরসিসি রাস্তার পরিমাণ ২৬৫ মিটার বরাদ্দ প্রায় ৭০ লাখ টাকা।

কাজ করা এক শ্রমিক জানান, সিমেন্ট পাথর নামমাত্র দিয়ে বালুর পরিমাণ বেশি দিচ্ছে। রড গুলো জং ধরে গেছে, দশ মিলি রোডের চেয়ে আট মিলি বেশি আছে। ঢালায়ের দিনও অফিসের কোন কর্মকর্তা থাকছেনা। কারন ঠিকাদারের লোক সাংবাদিকের ভাই এজন্য কেউ আসে না।

কার্যসহকারী আজাদের কাছে ঠিকাদারের মোবাইল নম্বর ও প্রকৌশলীর নম্বর চাইলেও অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

 

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *