তানোরে অবশেষে সেই হাবিবুরের নামে ধর্ষন মামলা

রাজশাহী

তানোর প্রতিনিধি: নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে লম্পট হাবিবুরের নামে ধর্ষন মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ওসি কামরুজ্জামান মিয়া। ওই মহিলা বাদী হয়ে হাবিবুর রহমানকে আসামী করে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। এদিকে মামলার খবর পেয়ে আসামী আত্মগোপনে আছেন। ফলে আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার করে চরম শাস্তির দাবি তুলেছেন। কারন এর আগেও হাবিবুর আরেকটি মেয়ের বাচ্চা হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। হাবিবুর গুবিরপাড়া গ্রামের ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

স্হানীয়রা জানান, গত ২৩ আগষ্ট ভিকটিম ওই মহিলা বিচার ও পাওনা টাকার জন্য হাবিবুরের কাছে আসেন। কিন্তু তাকে না পাওয়ায় পৌর মেয়রের কাছে বিচারের জন্য যান। মেয়র হাবিবুর ও তার পিতা সাত্তার কে বললে তারা কোন বিচারে যাবেন না। বাধ্য হয়ে মেয়র ভিকটিম কে থানায় দেন। পরে ওসি ওই মহিলাকে নিয়ে ডাকবাংলো মাঠ সংলগ্ন শীতলী পাড়া গ্রামের স্বপনের স্ত্রীর সাথে কথা বলেন। দিনভর রাখার পর রাতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়।
ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, থানায় ধর্ষণ মামলা করেছে ওই মহিলা, আসামি পলাতক এবং ভিকটিম কে পরিক্ষার নীরিক্ষা করার জন্য রামেকে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, ভিকটিমকে রামেকে নেওয়া হয়েছে এবং আসামি গ্রেফতারের জন্য জোরালো অভিযান পরিচালনা করা হবে। সে যেখানেই থাক গ্রেফতার করা হবে।

হাবিবুরের প্রতিবেশিরা জানান, সাত্তার ডাকবাংলো কেয়ারটেকারের চাকুরীর সুবাদে তার ছেলেরা প্রচুর দাপট ও অহংকার নিয়ে চলে। গ্রামের কোন ব্যক্তির সাথে তেমন মিল নেই। সুদের টাকায় হয়েছেন লাখপতি গরম থাকায় স্বাভাবিক। পাপ নাকি বাবকেও ছাড়েনা। পাপ করেছে তার ফলও ভোগ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, হাবিবুর দীর্ঘ দিন ধরে প্রেম অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন এবং চাকুরী পাবেন বলে টাকাও নিয়েছেন। তারা প্রায় সময় শীতলীপাড়ার স্বপনের বাড়ীতে অনৈতিক সম্পর্ক করে আসছিল। এঅবস্হায় গত ২২ আগষ্ট সোমবার ভিকটিম ও দুই সন্তানের জনক হাবিবুর দীর্ঘ সময় কাটান। এক পর্যায়ে হাবিবুর বাড়ির মহিলা মালিককে টাকা দিয়ে ওই মহিলাকে নিজ এলাকা শিবগঞ্জ পাঠাতে বলে। কিন্তু ওই মহিলা বিয়ে ও টাকা চাইলে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ এবং গলায় চাকু ধরে শাসায়। ওই ভিকটিম স্হানীয় কিছু ব্যক্তিকে অবহিত করেন।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *