বিবিয়ানা নদীতে নিখোঁজের ২দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার

অন্যান্য

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে নিখোঁজের দুইদিন পর বিবিয়ানা নদী থেকে লিটন মিয়া (৪৮) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লিটন মিয়া উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যসমত গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের পুত্র।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, লিটন মিয়া ইনাতগঞ্জ বাজারের প্রতিষ্টিত একজন সবজি ব্যবসায়ী। তিনি গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্যবসা বন্ধ করে তার বাড়িতে আর ফিরেনি। এবং তার মোবাইল ফোন ও বন্ধ পাওয়া যায়। এতে তাকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনদের বাড়ি-ঘরে অনেক খোঁজাখঁজি করে কোথাও লিটনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

অবশেষে (১৭ সেপ্টেম্বর) শনিবার সকাল ৭টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামের ভিতর দিয়ে বিবিয়ানা (মরা নদীতে) স্থানীয় লোকজন ভাসমান অবস্থায় লিটন মিয়ার লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।

এমন খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ, ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাওসার আহমেদসহ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় লিটনের স্বজনরা লাশ সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে নিহত লিটনের ভাই সালেনুর মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ভাই যে রাতে নিখোঁজ হয়েছিলেন। ওই রাতে স্থানীয় কসবা বাজার থেকে লোকজন রাত ২ টায় চেয়ারম্যান নোমান হোসেনকে ফোনে বলেছিল লিটন আটক আছেন, আপনি এসে নিয়ে যান। চেয়ারম্যান উত্তরে বলেন, ওকে মেরে ফেল।

আমরা যে দুইদিন ধরে খোঁজতেছি চেয়ারম্যান আমাদের সে খবর না বলে গোপন রাখেন। বিষয়টি আমরা পরে জেনেছি। তিনি আরো বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি প্রশাসনের নিকট সঠিক তদন্ত করে তার ভাইয়ের হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নোমান হোসেনের মোবাইল ০১৭৫৮১৫৬১৫৬ নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাত ৩টার দিকে আমার কাছে ফোন আছে লিটন মদ পান করে মাতলামি করছে। এসব কথা শুনে আমি বলেছি। কোন রকম বিষয়টা শেষ করে দেও। কালকে সকালে আমি বিষয়টি দেখবো। পরদিন শুনা জায় লিটন নিখোঁজ! এর পরদিন তার লাশ বিবিয়ানা নদীতে স্থানীয় লোকজন দেখতে পান।

এমন খবরে এলাকার মানুষ, থানা পুলিশ সহ আমিও সেখানে জাই। উপস্থিত লোকজন ও পুলিশের সামনে আমাকে লিটনের ভাই গংরা দেখা মাত্রই বেধরক মারপিট করে। এতেও আমি কোন প্রতিবাদও করি নাই। এরপরও তারা আমাকে নিয়ে নানান বাজে মন্তব্য করছে। যাহা পুলিশ তদন্ত করলেই আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। আমিও চাই অপরাধী যেই হোক না কেন তার বিচার হোক।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে আমরা আবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐ এলাকায় থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্ব.বা/ম

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *