ইউরোপে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে মন্দার শঙ্কা, ইসিবির নানা পরিকল্পনা

আন্তর্জাতিক লীড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:লিথুনিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও ইউরোপীয় অর্থনীতির অন্যতম নীতি নির্ধারক জেডিমিনাস সিমকাস বলেন, ইউরো জোনে মন্দার সম্ভাবনা প্রকট হলেও মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে (ইসিবি) সুদের হার বাড়াতে হবে। তাছাড়া ভবিষ্যতে কী ধরনের সংকটে আমার পড়তে পারি, সেগুলো অনুমান করে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এমন সব কথা বলেন তিনি।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সুদের হার ৭৫ ব্যাসিসে বাড়িয়ে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসিবি, যা লক্ষ্যের থেকে পাঁচগুণ বেশি ও একদশকের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুধু তাই নয়, মূল্যস্ফীতি গেঁথে বসার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর নীতি প্রয়োগের দরকার হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

সিমকাস বলেন, ইসিবির পর্যবেক্ষণে ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতি পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশে এ নেমে যাবে। কিন্তু যে মডেলগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা কাজ করছি, সেগুলো মূল্যস্ফীতির একমুখী প্রভাব নির্ণয়ে ব্যর্থ হচ্ছে। এর ফলে আমরা এর চাপ ঠিকঠাক বুঝতে ও মূল্যায়ন করতে পারছি না।

সিমকাসের মতে, যেহেতু ইউরোপ জুড়ে জ্বালানির দাম আকাশ ছুঁয়েছে, সেহেতু ইউরোপীয় দেশগুলোর জ্বালানিনির্ভর উৎপাদন কমাতে হতে পারে। এমনও হতে পারে যে, ইউরো জোনে প্রযুক্তিগত মন্দা দেখা দিয়েছে।

বর্তমানে মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি হওয়ায় ডিসেম্বরে সম্পদ ক্রয় কর্মসূচি চলাকালে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিবি। সেখানে তিন দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ইউরোর (তিন দশমিক দুই আট ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ, বিশেষ করে সরকারি ঋণ কীভাবে আদায় করা যায় তা আলোচনা করা হবে।

এখন পর্যন্ত এ আলোচনা নিয়ে এর বেশি কোনো তথ্য দেয়নি ইসিবি প্রধান ক্রিস্টিন লেগার্ডে। তবে সিমকাস বলছেন, বৈঠকে কবে থেকে ঋণ আদায় প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে, সম্ভাব্য পরিমাণ ও কীভাবে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

ধারণা করা হচ্ছে, ইসিবি তার স্থায়ী বন্ড থেকে পাওয়া অর্থের পুরোটাই পুনর্বিনিয়োগ করবে। তাছাড়া পরবর্তীতে সরাসরি বন্ড বিক্রি না করে ও সব ফান্ড থেকে পাওয়া অর্থ বিনিয়োগ না করেই ঋণের স্তুপ কমিয়ে ফেলবে।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *